,

নবীগঞ্জের কাজিরবাজার টু বিবিয়ানা নদী পর্যন্ত খাল বিলুপ্তির পথে

পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ, জনদূর্ভোগ চরমে

মতিউর রহমান মুন্না :: নবীগঞ্জ উপজেলার কাজিরবাজার ঘেষা বিবিয়ানা নদী পর্যন্ত পানি নিস্কাশনের খালটি অবৈধ দখলদার, ময়লা আর্বজনার স্থপ পেলে এবং খালের উপর দিয়ে এলজিইডি কর্তৃক ইট সলিং রাস্তা নির্মার্ণের কারনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তি হতে বসেছে এক সময়ের বিশাল আকৃতির এই খালটি। যুগ যুগ ধরে এই খাল দিয়ে এক সময় বিবিয়ানা নদী হয়ে কাজিরবাজারে ধান, কাঠাল বুঝাই নৌকা চলাচল করতো। সময়ের পরিবর্তনে উক্ত খাল দিন দিন ছোট হয়ে তার লাব্যতা হারিয়ে পেলতে বসেছে। এরমধ্যে ওই খালের উপর দিয়ে এলজিইডি কর্তৃক ইট সলিং রাস্তা নির্মাণ করলেও পানি নিস্কাশনেরজন্য কোন কালভার্ট না রাখায় বাজারসহ আশপাশ এলাকার পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উক্ত খালের উপর গড়ে উঠেছে বেসরকারী একটি মাদ্রাসা, দফাদার মনাই নমঃসুত্র তৈরী করেছেন ঘর বাড়ি। অনেকেই ময়লা আর্বজনার স্থপ পেলে যাচ্ছেন অহরহ। ফলে খালটি বরাট হওয়ার পথে বসেছে। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছেন।

Nabiganj kazirbazar (2)

এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৬/৭ মাস পুর্বে ওই এলাকায় সরকারী কাজে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসলে গ্রামবাসী ওই খালের বর্তমান অবস্থা দেখান। এ সময় এলাকার দাবীর প্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং পানি নিস্কাশনের জন্য কালভার্ট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। এছাড়াও খালের অপর অংশে কাকড়াখালি খালে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাধঁ নির্মাণ করে মাছ চাষ করে আসছে। ফলে পানি নিস্কাশনের ওই রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করবে বলে আশংখ্যা এলাকাবাসীর।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ খালেদ মোশারফ, বিশিষ্ট মুরুব্বী জয়নাল আবেদীন, নজরুল ইসলাম ও আবু সাইয়্যিদ জানান- উক্ত খাল দিয়ে কাজিরবাজারসহ আশপাশ এলাকার পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, ময়লা আর্বজনার স্থপ এবং কালভার্ট না থাকায় পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের পানি আটকা পড়ে জলাবদ্ধতাসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করবে। স্থানীয় তহশীলদার মতিলাল নন্দি জানান- এই গুলো সরকারের কি পরিমান তা নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বার বার চিটি লিখার পরও উপজেলা ভুমি থেকে সার্ভেয়ার না আসায় সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আতাউল গণি ওসমানী বলেন- পানি নিস্কাশনের জন্য প্রথম কাজটি হলো নির্মিত রাস্তায় বড় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা। তবে অবৈধ খাল দখলদারদের উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর