,

হবিগঞ্জ-২ আসনে সম্পদে এগিয়ে মজিদ-শংকর, মামলায় এগিয়ে জীবন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ হবিগঞ্জের ৪টি আসনের মধ্যে ৩৮ জন প্রার্থী তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন।  হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের হেভিয়েট ৩ জন প্রার্থীর হলফনামা তুলে ধরা হলো। মো. আব্দুল মজিদ খানঃ হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.কম, এলএলবি। তাঁর নামে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই। তিনি পেশায় আইনজীবী। তাঁর আয়ের খাতগুলোর মধ্যে কৃষি থেকে বাৎসরিক আয় হয় ২৩ হাজার ৪শ’ টাকা, বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে পান ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা, মৎস্য খামার থেকে বার্ষিক ২০ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে পরিতোষিক ভাতা পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, রবিশস্য থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া এমপি মজিদ খানের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। তাঁর নামে ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তাঁর ২টি গাড়ি রয়েছে টয়োটা ফরচুনা জীপ যার মূল্য ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১টি হার্ড জীপ ৪৫০০ সিসি যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা। তাঁর বাসায় রঙিন টিভি ফ্রিজ রয়েছে ৪০ হাজার টাকার, ফার্নিচার রয়েছে ২০ হাজার টাকা মূল্যের। তার কৃষি জমির পরিমাণ ৩ একর যার অর্জনকালীন মূল্য ৩০ হাজার টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ৮৩ শতক ৫০ অযুতাংশ যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা। আরও ৫০ শতক জমির অর্জনকালীন মূল্য ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ টাকা। এছাড়াও ৭ কাটা ৮ ছটাক অকৃষি জমির অর্জনকালীন মূল্য ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তাঁর ৬ তলা ভিত্তির ৪ তলা বিশিষ্ট বাসা রয়েছে। ওই বাসার অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৩ টাকা। তিনি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়ক, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়ক, বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়ক বাস্তবায়ন করেছেন। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। যার বাস্তবায়ন হয়েছে ৮০%। আর ২০% চলমান রয়েছে।
ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনঃ হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান (ডা. জীবন) এর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে ১০টি মামলা রয়েছে। সকল মামলায়ই তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত। তবে অতীতে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। তাঁর আয়ের খাতগুলোর মধ্যে কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ১ লাখ ৪ হাজার ৮৬৪ টাকা, নিজ পেশা থেকে বছরে আয় হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। চাকুরী থেকে বছরে পান ৫ লাখ ৪৭ হাজার ২শ’ টাকা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের চাকুরী থেকে বছরে আয় হয় ৭ লাখ ৯০ হাজার ১২৬ টাকা। তাঁর নিজের কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও স্ত্রী’র ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। নির্ভরশীলদের কাছে নগদ রয়েছে ১০ হাজার টাকা। ব্যাংকে ডা. জীবনের নামে জমা রয়েছে ৭ হাজার ৫৮২ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংকে রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর ১০০ ভরি স্বর্ণ আছে। বাসায় ব্যবহারের ২টি ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন ১টি, ইলেক্ট্রিক ওভেন ১টি, রঙিন টিভি ১টি, জেনারেটর ১টি, নির্ভরশীলদের ল্যাপটপ রয়েছে ১টি, আলমারি ৪টি, সোফা সেট, ৫টি খাট ও ৬টি টেবিল রয়েছে। তার কৃষি জমির পরিমাণ ১১০৯.৩৩ ডেসিমেল মূল্য ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, তার স্ত্রীর ৬ বিঘা ধানি জমি রয়েছে যার মূল্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলের নামে ৩ বিঘা ধানি জমি যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সবগুলো অর্জনকালীন সময়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তার ৪টি পৈত্রিক ঘর রয়েছে। নিজ অংশের আনুমানিক মূল্য ২৪ হাজার টাকা। শংকর পালঃ হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শংকর পাল নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে বর্তমানে কোন মামলা নেই, অতীতেও ছিল না। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি মেসার্স শ্রীশ চন্দ্র পাল, মেসার্স এসএন অটোরাইচ মিলস, মেসার্স এস.পি অটোমেটিক চিড়া ও মুড়ি ফ্যাক্টরী, শংকর সিটি ও শংকর বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী। তাঁর বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৯৪ টাকা, ব্যবসা থেকে বছরে আয় হয় ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬শ টাকা। তার পরিবারের নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় ৯ লাখ ১ হাজার ২৬ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে আরো ৯৬ হাজার টাকা আয়। তাঁর নিজের হাতে নগদ ১ লাখ টাকা ও তাঁর স্ত্রীর হাতে নগদ ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর নামে ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৮ টাকা, তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ১৮ লাখ ৮ হাজার ৩১২ টাকা। তাঁর ১টি পাজেরো গাড়ি রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া আরেকটি টয়োটা গাড়ি রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ১ লাখ টাকা। তাঁর বাসায় রয়েছে উপহারপ্রাপ্ত ১টি ফ্রিজ, ১টি রঙিন টিভি। আসবাবপত্রের মধ্যে পালং, আলনা, শোকেশ, সোফার অর্জনকালীন মূল ১০ হাজার টাকা। তাঁর ১ কেদার কৃষি জমি রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ১০ হাজার টাকা। তাঁর আইটিওবি সংযুক্ত ৬টি প্রতিষ্ঠান দালান বাড়ি রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫০ টাকা ও বাড়ি/এপার্টমেন্টের অর্জনকালীন মূল্য ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫০ টাকা।


     এই বিভাগের আরো খবর