,

লাখাইয়ে এমপি আবু জাহিরকে ফুল দিয়ে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদান

স্টাফ রিপোর্টার :: ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে আগুন-সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। তখন জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে এই আগুন সন্ত্রাসের জবাব দিয়েছেন। এবারো তারা হত্যার রাজনীতির পুনরাবৃত্তি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যদি অবারো তারা আগুন সন্ত্রাস করে তাহলে, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দিতে হবে। বিএনপি মাঠে যখন মিথ্যাচার দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারছে না, তখন নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে। তারা জনগণকে ভয় দেখায়। মিথ্যার উপর তাদের রাজনীতির মূল ভিত্তি। তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় জনপদ। শান্তির জন্য সারাদেশের লোকজন এখানে এসে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এখানে অনেক বাইরের লোকজন স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। এই পরিবেশ সৃষ্টি করেছি আমরা। হবিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার এখানে পর্যটন নগরী গড়ে তুলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যদি পর্যটন শিল্পের বিকাশ হয় তাহলে, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত চায় এখানে অশান্তি এবং সন্ত্রাসের সৃষ্টি হোক। যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। অতীতেও তারা লায়ন-ড্রাগন কাব করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। টেন্ডারবাজীর মাধ্যমে পরিবেশ বিনষ্ট করেছিল। কিন্ত গত দশ বছরে আমি কোনও সন্ত্রাস এবং মাদককে প্রশ্রয় দেইনি। কোনও টেন্ডারবাজী হয়নি। আমি কর্মে বিশ^াসী। কাজ করলে মানুষ অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। তাই আমার নেতাকর্মীরা কাজ এবং উন্নয়নের কথা বলে ভোট প্রার্থনা করেন। আপনাদের ভোট নিয়ে আমরা কারো মুক্তির উপায় খুঁজি না। আমরা একটাই বুঝি। সেটা হচ্ছে উন্নয়ন। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নে লাখনাউক, সাতাউক, মুড়িয়াউক, মশাদিয়া, তেঘরিয়া, সুনেশ^র এলাকায় পৃথক পৃথক নির্বাচনী প্রচারণা সভা ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় এমপি আবু জাহিরের উন্নয়ন কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে শতাধিক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এমপি আবু জাহির আরো বলেন, লাখাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলামান রয়েছে। খেলাধূলা এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে এসে হাসপাতালের উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বেশি সুফল ভোগ করবেন লাখাইবাসী। ঢাকার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকবে লাখাই। এক সময় লাখাইর মানুষ হবিগঞ্জ হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতেন। এখন হবিগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটের লোকজন লাখাইয়ের উপর দিয়ে ঢাকায় যাবেন। এতে করে লাখাইর ব্যবসা বাণিজ্য আরো সমৃদ্ধ হবে। লাখাইবাসীর জীবন যাত্রার মানের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। শুধু এখানেই শেষ না। আমি এই লাখাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে শহরের ন্যায় সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমি জনগণের সেবক। জনগণ আমার সাথে সরাসরি তাদের দু:খের কথা বলতে পারেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে সকল সময় আমি জনগণের জন্য ব্যয় করি। বিশেষ করে আমি যখন ঢাকায় সংসদের কাজে ব্যস্ত থাকি; তখনও ঢাকায় আমার বাসা লাখাইবাসীর জন্য উন্মুক্ত থাকে। ঢাকায় বসবাসকারী লাখাইবাসী সর্বপ্রথম আমাকে এমপি হওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছিলেন। ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে তখন তারা অনুষ্ঠান করেছিলেন। আমি সবসময় সেই অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে মনে রাখি। প্রবাসে গেলেও আমি লাখাইর অনেক কৃতি সন্তানদের বাসায় অবস্থান করি। লাখাইর সাথে আমি সবসময় আত্মার সম্পর্ক অনুভব করি।


     এই বিভাগের আরো খবর