,

বানিয়াচংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান মধু মিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ প্রমাণ

জুয়েল চৌধুরী ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজাকার মধু মিয়ার পক্ষে সাফাইগাইলেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের জনগণ ফুসে উঠেছে। তারা ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার হয়েছে। সম্প্রতি মধু মিয়া যুদ্ধাপরাধী মামলায় গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। কিন্তু তার বিচার না চেয়ে উল্টো ঢাকায় ১ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলনে তার মুক্তির দাবিতে সাফাইগাইলেন মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ বাচ্চু খান, মোঃ চান মিয়া, মোঃ আশরাফ উদ্দিনসহ আরও অনেকেই। এছাড়া তারা আরও উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় মধু মিয়ার বয়স ছিল ৭ বছর। কিন্তু তার ভোটার কার্ডে জন্ম ১০-০১-১৯৫২ ইংরেজি। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ২০ বছর। এছাড়া বর্তমানে মধু মিয়ার বিরুদ্ধে ওই মামলায় চার্জশীট দেয়া হয়েছে। অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আব্দুল হান্নান খান জানান, তদন্তে ও সাক্ষী প্রমাণে মধু মিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। বিচারক চার্জশীটের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবেন। এ নিয়ে আজমিরীগঞ্জে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর