,

নবীগঞ্জে শিক্ষকদের রমরমা কোচিং বাণিজ্য চলছেই

স্টাফ রিপোর্টার :: শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কোচিং বানিজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রয়োগ করার কথা বললেও তা হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে গিয়ে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন ও উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারের নীতিমালা। এ যেন অরাজকতা, দেখার যেন কেউ নেই। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীার প্রশ্নফাঁস রোধে ১ মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জের শিক্ষকরা চালাচ্ছেন রমরমা কোচিং বাণিজ্য। শুধু ভাড়াটিয়া বাসা, কোচিং সেন্টারেই নয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই বীরদর্পে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এসব অসাধু শিক্ষকরা। বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ- নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ শহরতলীর ওসমানী রোডস্থ আনসার ভিডিপি ব্যাংকের পেছনে দুইজন লোক লিটন  ও তার শিষ্য সন্তোষ কোন দ্বিধাবোধ না করে কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। যাহা বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতির বিপরীত বা বিরোধী। কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত এক শ্রেনীর শিক্ষকরা জনপ্রতি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে পাঁচশত টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা আদায় করছেন। তাদের কাছে গরীব-দুখী কোন ভেদাবেদ নেই। কোচিং বাণিজ্যের শিক্ষকদের আদেশে ছাত্র-ছাত্রীরা শীতের সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোচিং পড়ার জন্য আসতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং মাস শেষে মাতা পিছু ৫ শত টাকার কম হলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যতম কোচিং সেন্টার নবীগঞ্জ শহরতলীর সদর পোষ্ট অফিস সংলগ্ন প্রাইমারি শিক্ষক বিপুল কুমার দেব গণ-হারে চাটাইর মধ্যে বসিয়ে গাজা-গাজি করেও কিছুরীর মতো কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে ওসমানী রোডস্থ ইব্রাহিম মসজিদের পার্শ্বে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক তাজ আহমেদ নামের লোক বুকফুলিয়ে বীরদর্পে ডিজিটাল কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতিতে কোচিং বানিজ্য নিষেধ হওয়ার পর সরকারের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ভেতরেই বীরদর্পে এই অবৈধ কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মনে হচ্ছে তাদের এমন কর্মকান্ডে উপজেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা দেখার মতো কোন লোক নেই। কোচিং বাণিজ্যের কাছে অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীরা যেন জিম্মি রয়েছেন। আরো অভিযোগ উঠেছে, তাদের মতো শহরতলীর শিবপাশা রোড, নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ রোড, উপজেলা কোয়ার্টার সংলগ্ন আনমনু রোড, নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল রোড, নবীগঞ্জ মধ্যবাজারের অনেক বাসা-বাড়ি ও এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য তাই সমাজের সচেতন এবং সু-নাগরিকদের দাবী ওই অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হউক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাদেক হোসেন বলেন, নবীগঞ্জের কোথায় কোচিং হচ্ছে তিনি নাকি জানেন না।


     এই বিভাগের আরো খবর