,

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আটক হচ্ছে সিলেটে

সময় ডেস্ক ॥ কখনো কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে আবার কখনো ভারত থেকে সিলেটে আসছে রোহিঙ্গারা। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে। এসব রোহিঙ্গার ব্যাপারে এরই মধ্যে সতর্ক সিলেটের পুলিশ। সর্বশেষ গত রোববার রাতে ভারত থেকে আসা ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের ক্যাম্পে। এর আগে সিলেটে পাসপোর্ট বানাতে গিয়েও আটক হয়েছে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার থেকে আব্দুল আমিন নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরকে আটক করে পুলিশ। আর গত বছরের ২৪শে মে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করার সময় আটক হয় দুই রোহিঙ্গা তরুণী। পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রোববার রাতে আটক ৬ রোহিঙ্গা সদস্যকে সোমবার পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা। তিনি জানান, সিলেটে আটক রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো কথা বলতে পারেনি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে আরেক রোহিঙ্গা এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সিলেটে আটককৃত ৬ রোহিঙ্গা ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানা গেছে। তারা জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সিলেটে আসে। কয়েক শ’ রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে অবস্থান করছে ভারতের গোহাটি ও করিমগঞ্জে। গত রোববার আটক ছয় রোহিঙ্গা হলেন- হাজেরা খাতুন (৬৫), মো. সেলিম (২৫), ইয়াছমিন আরা (১২), নুর কালিমা (১০), সেলিমের স্ত্রী জুলেখা (২২) ও শিশুকন্যা আছেফা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের ঠিকানা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সাহেববাজার বলে জানায়। আটককৃতদের সূত্রে জানা গেছে- দালালচক্র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে তারা দালাল মারফতে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। সহজেই দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে কৌশলে বের করে নিয়ে আসছে সিলেটে। আর সিলেটের বিভিন্ন উপজেলাতে তাদেরকে রেখে কৌশলে পাসপোর্ট করানোসহ বাঙালিদের মতো স্বাভাকি জীবন যাপন করাতে চায়। যার জন্য দালালচক্র মিলে নানা কৌশলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আঁতাত করে বা ভুয়া নাগরিকত্ব ও জন্মনিবন্ধন তৈরি করে চাচ্ছে পাসপোর্ট সহ নাগরিকত্ব প্রদান করাতে। যার ফলে বিভিন্ন কৌশলে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। ২০১৮ সালের ২৪শে মে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে সিলেটে দুই রোহিঙ্গা তরুণী আটক হন। ওই দিন দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। সে সময় পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই তরুণী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা স্বীকার করে। পুলিশ জানায়- দুই রোহিঙ্গা তরুণী ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান পাসপোর্ট তৈরির আবেদনপত্র নিয়ে। পুলিশ গোপনে এ খবর পেয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের একজন রায়নগর এলাকার মিতালী ৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও নার্গিছ হোসেনের মেয়ে মনোয়ারা বেগম এবং আরেকজন একই এলাকার মিতালী ৫৬ নম্বর বাসার চতুর্থ তলার শেখ মাহমুদ হাছান ও হামিদা বেগমের মেয়ে মর্জিনা বেগম পরিচয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েছেন। পুলিশি তদন্তে এসব  তথ্য বেরিয়ে আসে।


     এই বিভাগের আরো খবর