,

হবিগঞ্জ মহাসড়কে অবৈধ দখলদারদের নৈরাজ্য, যাত্রীদের দুর্ভোগ, ঘটছে দুর্ঘটনা

সংবাদদাতা ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ অংশে দু’পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসব জায়গায় বিভিন্ন ধরণের ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টিসহ জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। আবার যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা পেলার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। তবে অবৈধ দখলের কথা স্বীকার করে শিঘ্রীই এসব  স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। জানা যায়, হবিগঞ্জে ১শ’ ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কের দু’পাশে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি। জেলার মাধবপুর থেকে নবীগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ২০টি স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বিভাগের এসব জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। বসছে হাটবাজার, বিভিন্ন দোকানপাটসহ পরিবহনের কাউন্টার। এর মধ্যে মাধবপুর বাজার, জগদীপুর, ওলিপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, মিরপুর, আউশকান্দি অংশে সব চেয়ে বেশি দখল করা হয়েছে। প্রভাবশালীরা এসব জায়গা দখল করে বিভিন্ন ব্যবসায়িদের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এদিকে, ফুটপাতে জনগণের চলাচলের পথে বিভিন্ন মালামাল রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এসব দখলদারিত্বের কারণে সৃষ্ট যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সাধারণ যাত্রীদের। প্রায় সময় ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। তবে দখলদারদের নৈরাজ্যের সীমা ছাড়িয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে। জেলার ৮টি উপজেলাসহ বৃহত্তর সিলেটবাসীর মিলনস্থল এটি। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে এই পয়েন্টে দিয়ে। অথচ এই স্থানে প্রভাবশালীরা মহাসড়কের পিছ পর্যন্ত দখল করে রেখেছে। একটি গাড়ি পার্কিং করলে অন্য আরেকটি গাড়ি যেতে অনেক সমস্যা হয়। আর মহাসড়কের মাঝখানে গাড়ি দাড় করিয়ে উঠা নামা করানো হচ্ছে যাত্রীদের। এতে প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। সেই সাথে যানজটতো লেগেই আছে সব সময়। এখানেই শেষ নয় দখলদারদের নৈরাজ্য, শায়েস্তাগঞ্জের এই অংশে জেলা পরিষদের দেয়া দুটি যাত্রী ছাউনি দখল করে চলছে ব্যবসা। ছাত্রী ছাউনির ভেতরে রাখা হয়েছে ব্যবসায়িদের বিভিন্ন মালামাল। যে কেউ প্রথম গেলে যাত্রী ছাউনি খুজেই পাবেন না। এমনকি যাত্রী ছাউনির দেয়াল কেটে তৈরী করা হয়েছে চায়ে স্টলের রান্নাঘর। অবৈধ দখলের কথা স্বীকার করে শিঘ্রীই এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আরও আগেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের কারণে সম্ভব হয়নি। তবে এ সপ্তাহেই শায়েস্তাগঞ্জ ও ওলিপুরে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেধ করা হবে।’


     এই বিভাগের আরো খবর