,

ভোট কেন্দ্র দখল, হামলা ও মারামারির অভিযোগে আলহাজ্ব জি.কে গউছসহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে

গউছ মানুষের হৃদয়ের সাবেক এমপি- শাম্মী আক্তার

জুয়েল চৌধুরী :: হবিগঞ্জে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, হামলা ও মারামারির অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেও দায়েরকৃত ৪টি মামলায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এর আগে এই ৪টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন শহরের জে কে এন্ড এইচকে হাইস্কুল, স্টাফ কোয়াটার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশেরআব্দা সওদাগর কৃষ্ণধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহরতলীর তেতৈয়া ভোট কেন্দ্র দখল, গাড়ি ভাংচুর ও মারপিটসহ বিভিন্ন অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ ও তার ছোট ভাই জি কে পাফফারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজন বাদি হয়ে ৪টি মামলা দায়ের করে। গত ২০ জানুয়ারী এই ৪টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন জি কে গউছসহ অন্যান্য আসামীরা। এই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে আলহাজ্ব জি কে গউছসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি সিরাজুল হক চৌধুরী, অ্যাড. লুৎফুর রহমান ও অ্যাড. মোঃ আতাউর রহমান, নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটুসহ আইনজীবীরা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাড. ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, আব্দুল হাই, কামাল উদ্দিন সেলিম ও এমএ মজিদসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যান্ত উভয়পক্ষের আইনজীবিদের মাধ্যে শুনানী চলে। নিরাপত্তার ছাদওে ঢাকা ছিল আদালত পাড়া। এছাড়াও ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল। জেলে পাঠানো বিএনপি নেতারা হলেন জিকে গউছ, তার ভাই জিকে গাফ্ফার, কহিনুর আলম, জহিরুল ইসলাম শরিফ, সুমন মিয়া, মাহবুবুর রহমান, শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, এনামুল হক প্রমুখ। এছাড়া মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা ইয়াছমিন, সৈয়দা লাভলী সুলতানা ও এনামুল হক সায়েমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
নিন্দা ঃ মিথ্যা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছসহ বিএনপির বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক এমপি শাম্মি আক্তার। গতকাল সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাম্মি আক্তার বলেন- মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে জি কে গউছকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জি কে গউছ কাগজে-কলমে এমপি হয়ে সংসদে যেতে পারেননি, কিন্তু জি কে গউছ মানুষের হৃদয়ে থাকবেন তাদের এমপি হিসেবেই। জি কে গউছের উপর সরকারের জুলুম নির্যাতন যতই বাড়বে হবিগঞ্জে মানুষ ততই তার পে অবস্থান নিবে।


     এই বিভাগের আরো খবর