,

নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক ৩ দিন ব্যাপী প্রাণের মেলা বইমেলার সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক ৩ দিন ব্যাপী অমর একুশে বইমেলার সমাপ্তি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সমাপনী দিনে নবীগঞ্জ পৌরসভার স্বনামধন্য মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসান। পৌরসভার প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম ও বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তীর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লোকসংস্কৃতি গবেষক ও কবি অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানী।  অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০১৯’ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এটিএম সালাম, কাউন্সিলর ও হবিগঞ্জ সময় সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, কাস্টমস অফিসার মোঃ গোলাম কিবরিয়া, ব্যবসায়ী আবুল কালাম মিঠু প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-৩ ফারজানা আক্তার পারুল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোছা. রোকেয়া বেগম ও সৈয়দা নাসিমা বেগম, কাউন্সিলর প্রাণেশ চন্দ্র দেব,  কাউন্সিলর মোঃ জাকির হোসেন, কবি আফতাব আল মাহমুদ, কণ্ঠশিল্পী বিন্দু সূত্রধর, প্রধানশিক্ষক মোঃ রুবেল মিয়া, সাংবাদিক সরওয়ার শিকদার ও ছনি চৌধুরী, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ভবি মজুমদার, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শেখ মোঃ জালাল উদ্দিন, সচিব মোঃ আজম হোসেন, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার চন্দ, সেনেটারি ইন্সপেক্টর সুকেশ চক্রবর্ত্তী, কর আদায়কারী আলহাজ্ব ইকবাল আহমেদ, প্রধান সহকারী সরাজ মিয়া, সাঁট লিপিকার সুরঞ্জিত দাশ, টিকাদান সুপারভাইজার এলেমান আহমেদ চৌধুরী ও বনানী দাশ, হিসাব সহকারী জুয়েল চৌধুরী, নি¤œমান সহকারী কামমুদ্রাক্ষরিক দিপংকর সরকার সহ পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ বিন হাসান বলেন- ‘বই জ্ঞানের ভান্ডার এবং মেধা বিকাশের উৎস।’ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ পৌরসভা ৩য় বারের মতো অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করায় নবীগঞ্জ পৌরসভার স্বনামধন্য মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরীসহ পৌর পরিষদের প্রশংসা করেন এবং মেলা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, ‘মেলায় এসে সবাই বই কিনবে, সেটি বড় কথা নয়, তবে বই দেখে দেখে বইয়ের প্রতি যে আগ্রহ তৈরি হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।’ ৩য় বারের মতো বইমেলার আয়োজন করায় তিনি পৌর মেয়রসহ পৌর পরিষদকে অভিনন্দিত করেন। এই বইমেলার মাধ্যমে পৌর মেয়রসহ তার পরিষদ নবীগঞ্জবাসীর জ্ঞান আহরণের সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন- বইমেলা যদি শিশু কিশোর তথা সকলকেই বইয়ের প্রতি কিছুটা হলেও আকৃষ্ট করে তবেই আমাদের আয়োজনের সার্থকতা।’ তিনি দর্শক, পাঠক, শ্রেুাতা সবার কমিন্টমেন্ট আদায়ের লক্ষ্যে বলেন- আপনাদের শুধু বইমেলায় আসলে হবে না, বই কিনতে হবে, বই পড়তে হবে, পরিবারের সবাইকে বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে। যদি আপনারা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেন আর সকলের সহযোগিতা থাকে তাহলে অমর একুশে বইমেলা অব্যাহত রাখতে চাই এবং আগামীতে বইমেলা ৩ দিন না করে ৫ দিন বা ৭ দিন করার প্রচেষ্টা থাকবে। পরিশেষে তিনি অমর একুশে বইমেলা ২০১৮’র দেশবরেণ্য অতিথিগণসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, মেলা উদযাপন কমিটি, উপকমিটি, কবি সাহিত্যিকবৃন্দ, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, পৌর পরিষদের কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দসহ নবীগঞ্জের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দকে তিন দিনব্যাপী বইমেলাকে সফল ও সার্থক করার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। আলোচনা পর্বের পর প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও সভাপতি পৌর মেয়রসহ পৌর পরিষদের সদস্যবৃন্দ পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন প্রধান শিক্ষক ও গীতিকার আলী আমজাদ মিলন। মেলায় ৩টি স্টলকে সেরা ঘোষণা করে তাদের পরিচালকদের হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দেন মেয়র-সহ অতিথিবৃন্দ। পরিশেষে দেবুল ভট্টাচার্য্য ও ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ নিকেতনের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


     এই বিভাগের আরো খবর