,

নবীগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ২

‘পিস্তল আছে গুল্লি নাই, তোরা ভূয়া র‌্যাব’- ইয়াবা সম্রাজ্ঞীর হুমকি

৫৭০ পিছ ইয়াবা ও নগদ ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা উদ্ধার

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হুমকির মূখে পড়তে হয় র‌্যাব-৯ এর সদস্যদের। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের গজনাইপুর গ্রামে হাসনা বেগম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছিলেন ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের অবাধ সা¤্রাজ্য। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সারজন মিয়ার বোন ইয়াবা স¤্রাজ্ঞী হাসনা বেগম। গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যম্পের একটি টিম। এমসয় হাসনা বেগম অভিযানকারী র‌্যাবের উদ্দেশে বলে ‘পিস্তল আছে গুল্লি নাই, তোরা ভূয়া র‌্যাব’। এ ভাবেই অশ্লিল বাক্য বর্ষণ করতে
থাকেন তিনি। এমনকি দা হাতে নিয়ে কোপানোর হুমকি দিয়ে র‌্যাব সদস্যদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি ভূয়া র‌্যাব হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা ও ছিল তার।
র‌্যাব জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলাধীন উত্তর গজনাইপুর গ্রামে বিজনা নদীর পাড়ে হাসনা বেগমের বসত ভিটা। স্বামী রুয়েল মিয়ার মৃত্যুর পর সন্তানহীন এ নারী ইয়াবা ব্যবসাতেই পূর্ণ মনযোগ দেন। বড় ডিলারদের  কাছ থেকে দুই-চার পিস কিনে খুচরা বিক্রি করতে করতে একসময় নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন হবিগঞ্জের ইয়াবা বাজার। ভাই সারজানকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। দীর্ঘকাল নির্বিঘেœ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার র‌্যাবের জালে বন্দি হন আলোচিত এই মাদক ডাকুরাণী হাসনা। র‌্যাব-৯ এর এএসপি মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে সহযোগীতা করেন র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার নিয়াজ মুর্শেদ। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে ভাই সারজান পালিয়ে গেলেও ৫শ ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ইয়াবা বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত নগদ ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩শ ৬৭ টাকাসহ তাকে আটক করা হয়। পাশাপাশি ধরা পড়েন তার দীর্ঘদিনের সহযোগী মিজানুর রহমানও। ধৃত মিজানুর একই গ্রামের মৃত শরিয়ত মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে এএসপি আনোয়ার শামীম জানান, এর আগে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও এ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছিল না। ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করে র‌্যাব সদস্যদেরকে স্থানীয় প্রতিরোধের মুখে ফেলার রেকর্ডও তাদের রয়েছে। অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ব্লকরেইড দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা এবং এক সহযোগীসহ তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর