,

নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সহযোগী আটক ॥ মূল হোতা পলাতক

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনায় নোমান আহমেদ (১৮) নামে ধর্ষণকারীর সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশ এবং বাদী পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেফতারে বাঁধা দেয় আসামি পক্ষের লোকজন। গতকাল রোববার দুপুরে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ বুধবার রাত অনুমান ১১টায় বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের  জনৈক (১৬) নামে এক স্কুল পড়–য়া ছাত্রী। এ সময় পূর্ব থেকেই উৎ পেতে থাকা ওই এলাকার ছাদ্দক মিয়ার পুত্র ইউসুফ মিয়া (৩৫) ও তার সহযোগী নোমান মিয়া (১৮) ওই জনৈক মেয়েকে জোর করে বেধে স্থানীয় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে সহযোগী নোমান কিশোরীকে ধরে রাখে এবং ইউসুফ মিয়া কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে বাথরুম থেকে না আসায় তার বাবা চারিদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় একটি নির্জনস্থানে একটি গাছের সাথে বাঁধা অচেতন ও বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠ সমাধান এবং উপযুক্ত বিচার করে দেয়ার নামে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় কিছু লোকজন। এর ৩ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হওয়ায় মেয়ের বাবা নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধর্ষণকারীর সহযোগী নোমানকে গ্রেফতার করতে গেলে আসামী পক্ষের লোকজন পুলিশ ও বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। তখন মেয়ের বাবাকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে বিবাদী পক্ষের লোকজন। পরে নোমানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামী নোমানকে ধরতে গেলে কিছু লোকজন এসে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর