জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ডে বাণিজ্য মেলায় প্রেমিকের সাথে অভিমান করে নাইমা আক্তার (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে সদর উপজেলার রিচি আইড়াকুনা গ্রামের বিলাত আলীর কন্যা এবং হবিগঞ্জ সরকারী
মহিলা কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩ টার দিকে শহরের বানিজ্য মেলায় এ ঘটনাটি ঘটে। নাইমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র কুদ্দুছ আলী (২৫) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গতকাল দুপুরে নাইমা কলেজ শেষে কদ্দুছের কথা মতো বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে গিয়ে কেনাকাটা করে এমনকি তার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি চেয়ারও কিনে। কিন্তু কদ্দুছ মেলায় আসার কথা বলে আসেনি। এ সময় কদ্দুছকে ফোন করে নাইমা বলে তুমি যদি না আস আমি বিষ খেয়ে মারা যাব। বিষের বোতল সাথে নিয়ে এসেছি। তখন কদ্দুছ বলে মরলে মরে যাও তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এ কথা শুনার পর সাথে সাথে নাইমা বিষ পান করে বাণিজ্য মেলার ভেতরে ছটফট করতে থাকে। মেলার দুই জন দোকানদার তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার দেবাশিষ দাস নাইমাকে মৃত ঘোষণা করে। আত্মহত্যার খবর পেয়ে নাইমার স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তখন হাসপাতালে তাদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। তারা বলে প্ররোচনায়ই নাইমার মৃত্যু হয়েছে। তাদের কন্যাকে ফুসলিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাকে প্রত্যাখ্যান করায় নাইমা আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। এর জন্য দায়ী কদ্দুছ। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। ঘটনার পর থেকেই কদ্দুছ মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করে। সদর থানার এসআই অমিতাব তালুকদার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করে। রাত সাড়ে ৮টায় নাইমার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি সহিদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কদ্দুছ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।