,

নবীগঞ্জের নতুন বাজারে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ কোচিং সেন্টার। এসব কোচিং সেন্টারের নামে কিছু অসাধু শিক্ষকরা অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে চলছে এসব কোচিং সেন্টারগুলো। পাশের নিশ্চয়তার আশ্বাস দিয়ে এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। অভিভাবকরাও অসহায় তাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে কোচিং সেন্টারে পড়াচ্ছেন। সম্প্রতি প্রশাসনের অভিযানে শহরে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ হলেও উপজেলা রসুলগঞ্জ (নতুনবাজার) এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক কোচিং সেন্টার। বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষকরা এসব অবৈধ কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক তারেক আহমেদ, গণিত বিষয়ের শিক্ষক মহন মিয়া, মাসুদ রেজা, হাবিব মিয়াসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক পৃথকভাবে গড়ে তুলেছেন কোচিং সেন্টার। এমনকি শিক্ষকরা লাইব্রেরী ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়েছেন, কোচিং এর পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন লাইব্রেরীতেও নোট বই, খাতা, কলমসহ যাবতীয় জিনিস কিনতে বাধ্য করা হয় বলেও জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিনা মূলধনে কোচিং ব্যবসা খোলার সুযোগ থাকায় নবীগঞ্জ শহর ও বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এসব কোচিং সেন্টার। কিন্তু শিক্ষকরা রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসলেও শহর ছাড়া কোন এলাকায় প্রশাসনের তদারকি নেই বল্লেই চলে। দেখা গেছে, এক একটি কোচিং সেন্টারে দিনে প্রায় তিন থেকে চারটি ব্যাচ পড়ানো হয়। প্রত্যেকটি ব্যাচে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হয়। কোচিং সেন্টারগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক রয়েছে। আর কোচিং সেন্টারগুলোতে একটি ব্যাচ দেড় ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পড়ানো হয়। এক একটি ক্লাস ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত নেয় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষায় ফেলের ভয় দেখিয়ে এবং শতভাগ পাসের আশ্বাস দিয়ে সারা বছরই কোচিং সেন্টারে পড়তে বাধ্য করা হয়। শিক্ষক তাদের স্কুল ফাকি দিয়ে ও ক্লাসে সঠিকভাবে পাঠদান না করে কোচিং সেন্টারে আসার কথা বলে দেন। এসব কোচিং সেন্টার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় লোকজন। এ ব্যাপারে বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোথায় কোচিং হয় তিনি জানেননা। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শুকরানা আহমেদ বলেন, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর