,

বন্ধ হচ্ছে সাড়ে ২০ লাখ সিম

সময় ডেস্ক ॥ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি সিম। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত থাকা সিম বন্ধ করে দিতে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো নির্দেশ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। বিকালে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৬শে এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহকবান্ধব হবে। এ খাত আরও সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘেœ উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা নিতে পারবে। তিনি আরও বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করার নিয়ম থাকলেও তা না নামায় প্রায় ২৬ লক্ষ সিম বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন ‘অ্যামটব’ এক ইমেইলে বলেছে, গ্রাহকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বিটিআরসির কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আমরা আবেদন করেছি। কারণ অনেক সিম অনলাইন বা আর্থিক কাজে ব্যবহৃত হয়। আমরা আশা করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সব গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসির কাছে রক্ষিত আছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, কার কাছে কতটি সিম রয়েছে। তথ্য প্রক্রিয়া করে অপারেটরদের এসব নম্বর দেয়া হয়েছে এবং অপারেটররা গ্রাহকের সঙ্গে অতিরিক্ত সিম বন্ধের বিষয়ে ফোন দিয়ে জানিয়েছে। অপারেটররা জানিয়েছে, কোনো গ্রাহকের যদি ১৫টির বেশি সিম থাকে তাহলে তার নামে নিবন্ধিত সবচেয়ে পুরনো সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। সম্প্রতি যে সিমগুলো তার নামে রয়েছে তা সচল থাকবে। যদি কারো ২০টির বেশি সিম থাকে তাহলে দেখা হয়েছে তার পুরনো ৫টি সিম কোনগুলো সেগুলোই বিটিআরসি বন্ধ করতে অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অধীনে ১৫-এর বেশি নিবন্ধিত থাকা সিম বন্ধ করতে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। অপারেটগুলোও গ্রাহককে বিটিআরসির এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছে। কোন সিমটি বন্ধ হতে পারে বা ডিঅ্যাক্টিভ করতে বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে গ্রাহককে বার্তাও দিয়েছে অপারেটরগুলো।


     এই বিভাগের আরো খবর