,

হবিগঞ্জে প্রচন্ড গরমের সাথে তীব্র লোড শেডিং ॥ জনসাধারণের দুর্ভোগ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জে প্রচন্ড গরমের সাথে-সাথে তীব্র লোড শেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থীসহ সকল পর্যায়ের জনসাধারনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ঘন-ঘন লোড শেডিংএর কারনে ফ্রীজ পানির মেশিন টিভি, ফ্যানসহ বিভন্ন ইলেক্টিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। একটু বাদাস হলেই হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ চলে যায়। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন ‘আমাদের কিছু করার নেই, শাহজিবাজার থেকে চলে গেছে’। অথচ দেখা যায় তাদের অফিসে বিদ্যুৎ ঠিকই আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিং আর বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানান, আসছে প্রবিত্র রমজান মাসে যদি বিদ্যুতের লোড শেডিং বা ঘন-ঘন বিদ্যু আসা যাওয়া করে তাহলে বিদ্যৎ অফিস ঘেরাসহ কঠিন কর্মসুচী গ্রহন করবেন তারা। জানা যায়, হবিগঞ্জে শীতকাল শুরু থেকে তেমন লোড শিডিং ছিল না। কিন্তু গরম কাল আসা মাত্র লোড শেডিং দেখা দিয়েছে। হবিগঞ্জে দিনে বর্তমানে ১৫-২০ বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়। এ নিয়ে জনসাধারন, পরীক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল দেশে রুপান্তর করার জন্য কাজ করছে। সে লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ দিকে ওই ল্য বাস্তবায়ন হবিগঞ্জে কোনমতেই সম্ভব নয়। কারন হবিগঞ্জে বর্তমানে সারাদিনে বিদ্যুৎ থাকে ৭/৮ ঘন্টা। তাও কখন আসে কখন যায় তার ঠিকমত নিয়ম কানুন নেই। হবিগঞ্জে রয়েছে একাদিক আদালত, অফিস, ব্যাংক, বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্টান,ছোট বড় কলকারখানাসহ অনেক কিছু। এ সব কিছু বিদ্যুৎ ছাড়া অচল। বিশেষ করে হবিগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল, বেসরকারী কিনিক, জমি রেজিষ্ট্রি করতে বিদ্যু বাধ্যতামুলক। এ ভাবে লোড শেডিং চলতে থাকলে সর্বস্তরের জনসাধারন চরম দুর্ভোগ পোহাবে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ মোহাম্মদ কিবরিয়া জানান, পেকুয়ায় সাবষ্টেশনে ৫ এমবি বিদ্যুতের সরবরাহ রয়েছে। আগামী এক মাস পর এই সাব ষ্টেশনে ১৫ এমবি বিদ্যুত ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার কাজ পেয়ে গেছে। ওই ১৫ এমবি চালু হলে বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর