,

নবীগঞ্জে দুই ভুমি মালিকের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে দুই ভূমি মালিকের সীমানা নির্ধারণ না থাকার পর এক লন্ডনীর ক্রয়কৃত ভুমি বুঝিয়া নিতে তার পক্ষ নিয়ে অহরহ চাপ প্রয়োগ, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন জিয়া উদ্দিন। অপরদিকে তিনি থানার আশ্রয় নেয়ায় লন্ডনীর পক্ষ নিয়ে তার কেয়ারটেকার মাহফুজুর রহমান মুসা হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে দুইজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সুত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন গত ১৬ই এপ্রিল নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন একই উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের মৃত সাজ্জাদুর রহমানের পুত্র লন্ডন প্রবাসী মাসুম মিয়া বাউসা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মুমিন ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর এর নিকট থেকে কিছু জমি ক্রয় করেন। কিন্তু লন্ডন প্রবাসী মাসুম মিয়া উক্ত ভূমি দখল বুঝিয়া পাননি। এর পর ও তার পক্ষ নিয়ে একটি ভাড়াটিয়া বাহিনী জিয়াকে অহরহ হুমকি ধামকি দেয়ায় থানায় তিনি ওই তারিখে সাধারণ ডায়রি করেন। থানায় সাধারণ ডায়রির সংবাদ শুনে লন্ডন প্রবাসীর পক্ষ থেকে তার কেয়ারটেকার বাগাউড়া গ্রামের মৃত জিলু মিয়ার পুত্র মাহফুজুর রহমান মুসা বাদি হয়ে গত ২৪ই এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালত হবিগঞ্জ পাইকপাড়া গ্রামের জিয়া ও   শাহিন এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম গত ২৫ এপ্রিল উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করতে গিয়ে বাদি মাহফুজুর রহমানের পক্ষ নিয়ে আসামী জিয়া ও শাহিনকে না জানিয়ে ও তাদের অনুপস্থিতে লাল নিশানা স্থাপন করে ১৪৪ ধারার সংকেত দিয়ে আসেন। ওই নিশানা দেখে বিবাদিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে নোটিশ জারিকারক এএসআই সাইফুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে বাদি ও বিবাদীদের উপস্থিতিতে নিশানা স্থাপনের মর্ম বুঝিয়ে দিতে দ্বিতীয় বার বিরোধপূর্ণ ভুমিতে যান। কিন্তু পুলিশ বাদি পক্ষের ইশারায় লাল নিশানা স্থাপনের ক্ষোভে নোটিশ গ্রহন না করায় বিমুখ হয়ে ফিরে আসেন নবীগঞ্জ থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে বলে জানা গেছে। লাল নিশানা স্থাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে লাল নিশানা বসানো হয়েছে। নিশানা দিয়ে ভূমির কোন পক্ষকে সমজিয়ে দেয়া হয়নি বরং ওই নিশানা দিয়ে আদালতের ১৪৪ ধারার সংকেত বুঝানো হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর