,

আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আটকে গেল বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আটকে গেল বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। উপজেলার সাতকাপন আউলিয়া-নূর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার সহকারি জজ আদালত বাহুবল, হবিগঞ্জ এ আদেশ দেন। হবিগঞ্জ জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আফতাব উদ্দিন বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন। আগামী ৫ মে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনণ নির্ধারিত ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরি কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সম্প্রতি করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সহিদকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে তিনি গত ১১ এপ্রিল উপজেলার ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০৯ জন শিক্ষককে অন্তর্ভূক্ত করে একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। উক্ত তালিকা থেকে রহস্যজনক কারণে বাদ দেয়া হয় উপজেলার সাতকাপন আউলিয়া-নূর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে। এ প্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষক চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির দাবিতে আহ্বায়ক বরাবরে আবেদন করেন। আহ্বায়ক আব্দুস সহিদ এ আবেদনের কোন জবাব না দিয়েই ১৮ এপ্রিল ৫০৮ শিক্ষককে অন্তর্ভূক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। একই দিন উক্ত নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাহুবলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভোটার তালিকা অনুমোদন প্রদান করেন। একই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার উক্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী মোট ১১ পদে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন দাখিল, ২৪ এপ্রিল মনোনয়ন বাছাই সম্পন্ন হয়। ২৫ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর থেকে প্রার্থীগণ প্রচারণা শুরু করেন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান (সাবেক সভাপতি) ও মোঃ শফিকুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুল মালেক (সাবেক সহ-সভাপতি) ও মোঃ নূরুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক পদে শহীদুল আলম (সাবেক সাধারণ সম্পাদক) ও আবুল কাসেম, যুগ্ম সম্পাদক পদে আবু সুফিয়ান ও আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহজাহান তালুকদার ও আব্দুল হক, দপ্তর সম্পাদক পদে শেখ মোঃ সালেহ উদ্দিন ও মোঃ সামছুল হক, প্রচার সম্পাদক পদে অর্ধেন্দু প্রকাশ আচার্য্য ও আহমদ হাসান, অর্থ সম্পাদক পদে শাহ আলম ও মোঃ তৌহিদ মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোঃ শফিক মিয়া ও মোঃ আনোয়ার আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিথীকা সরকার ও রাফিয়া আক্তার, শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রদীপ পাল ও মোঃ মাসুক মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ইং সনের ৮ ফেব্রুয়ারি উক্ত সমিতির নির্বাচনের প্রাক্কালে সমিতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ নং- এস-১৫৩৬(৯৬)) এর কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ.বি.এম আব্দুল বাছিত সেলিম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর