,

জগন্নাথপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি কৃষকদের বোরোধান কাটা ব্যাহত

শাহ এস এম ফরিদ :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে চলতি মৌসুমে শেষ পর্যায় এসে কৃষকদের বোরোধান কাটা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকের বলা হয়, অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি জেলার নদ নদী ও হাওর সহ নি¤œাঞ্চলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবের ফলে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশংকা বিদ্যমান থাকায় জরুরী ভিত্তিতে পাকা ধান কাটতে কৃষকদের অনুরোধ জানানো হয়। এমন পরিস্থিতির সম্ভাবনায় ঘরে ধান তুলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক কৃষাণীরা শেষ মুহুর্তে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আগমনে ঝড়তুফান ও শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনার কারনে কৃষকদের পাকা ধান দ্রæত সময়ে কাটতে মাইকিং করে জানানো হয়। আবহাওয়া অফিসের বার্তা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুর্ণি ঝড়ের সর্তকতার পর এলাকার কৃষকরা তাদের বোরোধান কাটতে তোরজোর শুরু করেছেন। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মতো ধান কাটা সম্ভব হচ্ছেনা বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। চলতি বোরো মৌসুমে জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৭ শত ২৫ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি উপজেলার প্রায় ১০ ভাগ ধানের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটা ফলন বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান মজুমদার বলেন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বিষয়ে আমরা কৃষি অফিস থেকে গত দুই দিন ধরে মাইকিং করে আসছি এবং গতকাল ও আজ আমি নিজে বিভিন্ন হাওরের গিয়ে কৃষকদের দ্রæত ধান কাটার জন্য বলছি। ধান কাটার শ্রমিক সংকট নেই। আমাদের উপজেলায় প্রায় একশত ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আশা করছি দুই এক দিনের বৃষ্টিতে যে ধান রয়েছে তেমন ক্ষতি হবেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর