,

‘দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকা যাকাত আদায় সম্ভব’

সময় ডেস্ক :: দেশে অর্থনীতির যে আকার, তাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি যাকাত আদায় করা সম্ভব। আর এ পরিমাণ যাকাত আদায় হলে দেশে কোন দরিদ্র থাকবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনন্সটিটিউশনে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত যাকাত মেলা উদ্বোধনকালে এ মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা। মেলায় যাকাত সংক্রান্ত পরামর্শ ডেস্ক, বিভিন্ন ইসলামিক বই ও যাকাত ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরতে কয়েকটি স্টল রয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যাকাতের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হতে পারে। তবে দেশের বিশাল একটি অংশ যাকাত বিষয়ে এখনো সচেতন নয়। মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। আমরা তা ২০ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। একই সঙ্গে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, আয়ও বাড়ছে। আবার কোটিপতি বা আয় বাড়ার কারণে দেশে আয় বৈষম্যও বাড়ছে বলে জানান তিনি। এমএ মান্নান বলেন, কর মেলা করে আমরা উপকৃত হয়েছি। যাকাত ফেয়ারের মাধ্যমেও দেশ উপকৃত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দারিদ্রতা ও আয় বৈষম্য কমাতে যাকাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করের ক্ষেত্রে যেমন অনেকে কর ফাঁকি দেয়, তেমনি অনেকে যাকাতও ফাঁকি দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগে যাকাত দেয়া হয়। কিন্তু তা টেকসই না। যাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপ দিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে সাহায্য করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলনে, যাকাত ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই দেশে বৈষম্য বাড়ছে। মুসলিম বিশ্বে বর্তমানে যে ক্ষুধা-দারিদ্র বিরাজ করছে, যাকাতের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা দুর করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইসলামি ব্যাংক কনসালটেটিভ ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল।


     এই বিভাগের আরো খবর