,

মাধবপুরে আশংকাজনক হারে বাড়ছে জন্মহার

মাধবপুর প্রতিনিধি :: মাধবপুরে আংশকাজনক হারে বাড়ছে জনসংখ্যা। ব্যহত হচ্ছে সরকারের জন্মনিয়ন্ত্রন কার্যক্রম। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কোন ক্রমেই রোধ করা যাচ্ছেনা দুই এর অধিক সন্তান জন্মগ্রহন। সরকার শিশু জন্মহার কমানোর লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করলেও মাধবপুরে তার প্রভাব ফেলতে পারছেনা দ্বায়িত্বরত অধিদপ্তর। প্রত্যান্ত অঞ্চলের নারী ও পুরুষরা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সর্ম্পকে জানেই না। সরকার প্রতি ডজন কনডমের মূল্য ১ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারন করে বিনা মূল্যে সরবরাহ করার জন্য রেখেছে মিশ্র খাবার বড়ি, স্বল্পমাত্রা জন্মনিয়ন্ত্রন খাবার বড়ি। কপার টি এবং ইমপ্ল্যান্ট সেবা গ্রহীতাকে পৃথক পৃথক ১৭৩ টাকা, ভ্যাসেকটমী ও টিউবেকটমী গ্রহীতাকে নগদ ২৩ শত টাকা প্রদানসহ অন্যান সুবিধার ব্যবস্থা রাখলেও এ সকল সুযোগ সুবিধার কথা জানেনা উপজেলার অধিকাংশ জনগন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, স্যাটেলাইট কিনিক, কমিউনিটি কিনিক ও পরিবার কল্যান সহকারী দম্পতির বাড়ী পরিদর্শনের নির্দেশ থাকলেও তা সঠিকভাবে হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। “দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভাল হয়” এরকম শ্লোগান ভেস্তে যাচ্ছে মাধবপুরে। হতদরিদ্র পরিবারে ৬/৭টি সন্তানের পাশাপাশি সচেতন শিক্ষিত দম্পতির ঘরে রয়েছে ২ এর অধিক সন্তান। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্স। রয়েছে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিউনিটি কিনিক। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৪৩ জন পরিবার কল্যান সহকারী (এফ ডবিøউ এ)। পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম জনগনের দৌরগোড়ায় পৌছে দিয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে জন্মনিয়ন্ত্রন যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন আজো সম্ভব হচ্ছেনা। উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০০১ এর আদম শুমারী জরিপ অনুযায়ী মাধবপুরে মোট জন সংখ্যা ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫ শত ৭৮ জন। ২০১১ সালের আদম শুমারী জরিপ অনুয়ায়ী অনুযায়ী মাধবপুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ১৬ জন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক নারী পুরুষ খাবার বড়ি, কনডম না পেলেও উপজেলা সদরের মুদি দোকানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লগো সম্বলিত কনডম বিক্রি হতে দেখা যায়। বিভাগীয় মাঠ কর্মীরা দায়িত্ব পালনে আন্তরিক না হওয়ায় ও জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না করায় এ সমস্যা চলছে বলে সচেতন মহল মনে করেন। উপজেলার দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামের রিক্সা চালক মুসলিম মিয়ার স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী রশিদা খাতুন (৩৩), ৬ সন্তানের জনক দুদু মিয়া এবং একই গ্রামের ইদন মিয়ার স্ত্রী ৭ সন্তানের জননী ছালেখা খাতুন (৩৫) এর সাথে আলাপ করে জানা যায়, অদ্যবদি সংসার ছোট রাখতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে তাদের কেউ পরামর্শ দেয়নি এবং জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ও কোন সামগ্রী তাদের দেওয়া হয়নি। উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মৃত নাদির উদ্দীনের স্ত্রী কুলসুমা বেগমের গর্ভে ২ ছেলে ৩, হরিণখোলা গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী আফিয়ার রয়েছে ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে। একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মিনারা বেগমের ১ মেয় ও ৬ ছেলে। এ রকম কয়েক কয়েক সহ¯্রাধিক হতদরিদ্র পরিবার ৫/৭ সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে অপুষ্টিতে ভোগছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইকবাল জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে দাবী করে তিনি বলেন- ১ জন পরিবার কল্যান সহকারী মাসে ৫-৬ শ দম্পতি দেখার কথা থাকলেও তাদের সেবা দিতে হচ্ছে ১৫-১৬ শ দম্পতিকে। জনবলের স্বল্পতায় সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ বিষয়টি অত্র মন্ত্রনালয় ও ডিজি অবগত আছেন


     এই বিভাগের আরো খবর