,

বাটি চালানে চোর ধরা কী বলে ইসলাম?

সময় ডেস্ক ॥ সা¤প্রতি সিলেটের নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে বাটি চালানের মাধ্যমে চোর সাব্যস্তা করে হত্যা করা হয়েছে। অমানবিকতা, আক্রোশ এবং হিংস্রতার সবকটি রূপই এ ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে। বাটি চালানের মত একটি ধারণাপ্রসুত মাধ্যমকে ইসলাম কখনই প্রমাণ হিসেবে সমথর্ন করে না। অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে ইসলামে রয়েছে কঠোর সতর্কতামূলক নীতিমালা। বাটি চালানের মাধ্যমে চোর ধরার পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে একটি অপ্রমানিত পদ্ধতি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার পেছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্ত: করন, এ সবকিছুই জিজ্ঞাসিত হবে।’ সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত:৩৬। আয়াতটির ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ লিখেছেন, এখানে জ্ঞান দ্বারা প্রমাণনির্ভর জ্ঞান উদ্দেশ্য। আর বাটি চালানকে ইসলাম কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্তা করার মাধ্যম হিসেবে ধর্তব্য করেনি। আল্লামা আশরাফ আলি থানভি রহ. লিখেছেন, যদি বাটি চালান কোন খারাপ কাজের উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাহলে তা নাজায়েজ হবে। যেমন, একে যদি চোর ধরার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহল তা জায়েজ হবে না। কারণ, এটি চোর ধরার কোন প্রামাণিক মাধ্যম নয়। উপরন্তু এটি মানুষের মনে অযথাই ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। এমনকি একে কেন্দ্র করে শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই চোর ধরার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নাজায়েজ। তবে হ্যাঁ, যদি কোন ব্যক্তিকে দোষারোপ না করে শুধু হারানো বস্তু খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। ইমদাদুল ফতোয়া, ভলিয়ম : ৪ পৃ :৮২। পুনশ্চ : আমাদের দেশে চোর ধরতে প্রচলিত বাটি চালান, লবণ পড়া, তেল পড়া ইত্যাদি কোনটিই ইসলাম সমর্থিত নয়। সুতরাং এ ধরনের অপ্রমাণিত পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্তা করে শাস্থি দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।


     এই বিভাগের আরো খবর