,

বাহুবলের ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসি’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত সাধারণ পরিষদকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি, যুব উন্নয়ন অফিসার, বাহুবল কলেজের অধ্যক্ষসহ এডহক কমিটির ৭ জনকে বিবাদীভূক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সহকারী জজ আদালত, বাহুবলে এ স্বত্ব মামলাটি দায়ের করেন ক্রীড়াবিদ মামুনুর রশীদ মামুন, শফিক মিয়া ও মাহফুজ
আলম চৌধুরী। গত ২১ মে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসীম উদ্দিন-এর স্বাক্ষরে প্রকাশিত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ২১ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ বাতিলের দাবিতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ২০১৪ সনে প্রকাশিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার গঠতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়ে আসছে। বাহুবল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান এডহক কমিটির আহ্বায়ক গত ২১ মে উল্লেখিত গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা, উপ-ধারার বিধি-বিধান না মেনেই সাধারণ পরিষদের তালিকা প্রকাশ করেন। এতে স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের বাদ দিয়ে অক্রীড়াবিদদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে স্বৈরাচারী কায়দায় নিজের মনগড়া মতে ক্রীড়া সংস্থাকে পরিচালনা করছেন। তার স্বেচ্ছাচারীমূলক কাজ-কর্মের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট তাকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পড়ানোর ঘটনায় এ নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখিত মামলার বাদী পক্ষ জানায়, হাইকোর্টের কারণ দর্শানোর নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসীম উদ্দিন ইতোমধ্যে ২ দফা স্বশরীরে হাজিরা দিয়েছেন। এছাড়াও গত বছরের ১১ জুলাই তিনি উপজেলার খাগাউড়া গ্রামে বিল নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকে শওকত আলী গং পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় অপর পক্ষের একতরফা বক্তব্য গ্রহণ করে পরদিন শওকত আলী গংদের নোটিশ প্রদান করেন। উক্ত নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে শওকত আলী গংরা ১৬ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন।
তারা আরো জানান, গত কিছুদিন পূর্বে বাহুবল বাজারের আব্দুর রব নামে এক ব্যক্তির নামে আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাসভবনের ভূমিতে উক্ত ঘরটি নির্মাণ করে দেন। পরবর্তীতে ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অলিউর রহমান অলি এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করলে গত ২৩ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মর্জিনা আক্তার অভিযোগ সরজমিন তদন্ত করেন। অবশ্য এর আগেই উক্ত সরকারি অর্থে নির্মিত ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর