,

চুনারুঘাটে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিলাস বহুল বিউটি পার্লার থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার দুই মামাকে খোঁজছে পুলিশ। এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার রাণীগাও ইউনিয়নের গাভী গাও গ্রামের বজলুর রহমানের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি (১২) ও চাটপাড়া আইডিয়াল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। বৃষ্টির মা নার্গিস বেগম জিবীকার তাগিতে লেবাননে থাকার সুবাদে লেখাপড়া করার জন্য একই ইউনিয়নের কালিয়াগাও গ্রামের তার মামা আহম্মদ আলীর বাড়িতে অবস্থান করে আসছিল বৃষ্টি। সম্প্রতি তার মামা আহম্মদ আলী ও মমিন আলী ঢাকা হাজারী বাগ এলাকার ব্যবসায়ী আবজাল মিয়া (৪০) এর সাথে তার বিয়ে টিক করেন। বিনিময়ে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা পণ নেয়। এ দিকে বৃষ্টিকে বিয়ের জন্য তারা চাপ দিতে থাকে এতে বৃষ্টি অপরাগতা প্রকাশ করে। দুই মামা কৌশলে গতকাল রবিবার জোহরের নামাযের পর গোপনে আবজালের সাথে বিয়ের দিন ধার্য্য করেন। বাড়িতে রান্না-বান্না চলে দুপুর ১১  টায় বাড়ির মহিলাদেরকে দিয়ে সিএনজি যোগে বৃষ্টিকে চুনারুঘাট পশ্চিম বাজারে বিলাসবহুল একটি বিউটি পার্লারে সাজ-গোজ করার জন্য পাঠানো হলে খবরটি বৃষ্টির পিতা বজলুর রহমানের কাছে পৌছে। পরে বজলুর রহমান স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বী ও চুনারুঘাট থানার পুলিশকে নিয়ে বিউটি পার্লার থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সাথে আসা মহিলারা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বৃষ্টিকে উপজেলা  নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে বৃষ্টিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিনের নিকট রাখা হয়। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হবিগঞ্জ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন তার নির্দেশে বৃষ্টিকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়।  এবং তার দুই মামাকে আটক করার জন্য চুনারুঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর একটি সুত্র জানায়, ঢাকার বর আবজর একটি প্রাইভেট কার নিয়ে বিয়ে করে বৃষ্টিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাণীগাও পৌছলে অবস্থার বেগতিক দেখে গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইউএনও মঈন উদ্দিন ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাল্য বিয়েটি প- করা হয়েছে এবং বৃষ্টিকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মামার  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর