,

পিতা-মাতার সচেতনতার অভাবে হবিগঞ্জ জেলার অনেক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের হাওয়র অঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে একটি জেলা আমাদের এই হবিগঞ্জ। প্রাকৃতিক গ্যাস, চা সহ বিভিন্ন সম্পদে ভরপূর আমাদের এই হবিগঞ্জ। এ জেলায় রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন রেমা-কালেঙ্গা, দেশের বৃহত্তম জলা বন লক্ষীবাউর, সাতছরি জাতীয় উদ্যান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচংসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানও। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে এত  সব প্রাচুর্য্য আর ঐতিহ্যে পরিপূর্ন জেলাটি বর্তমানের সব চেয়ে বড় সম্পদ শিক্ষার দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে। হবিগঞ্জ জেলার অনেক শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে ছোট ছোট অনেক গ্রাম। আর এই সব গ্রামে বাস করে হত দরিদ্র পরিবার। এই সব পরিবারের এক এক দম্পতির রয়েছে একের অধিক সন্তান। তারা সন্তান জন্ম দিলেও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এই সব পরিবারের শিশুরা জন্মের পর থেকেই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এই সব শিশুরা স্কুলে ভর্তি হলেও নিয়মিত ক্লাসে যায় না। ৭-৮ বছর বয়স হলেই তারা বের হয়ে যায় বিভিন্ন কর্মসংস্থানের খুজে। এদিকে নজর নাই বললেই চলে কর্তৃপক্ষের। অন্যের বাড়িতে দিন মজুর, বিভিন্ন কলকারখানা, ক্ষেত-খামার, মাছ ধরা, রাজ মিস্ত্রির সহকারি, কাঠ মিস্ত্রির সহকারি, মাঝিঘিরী সহ রিক্সা, ভ্যান, টেম্পুর হেলপার, টমটম, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, মাটিকাটার মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজও করছে। আর্থিক সমস্যার কারণে এই সব শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনা। কিন্তু কিছু কিছু পরিবার আছে যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল থাকলেও পিতা-মাতার সচেতনতার অভাবে তারা স্কুলে যায় না। কারণ গ্রামের লোকেরা শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নয়। ফলে দিন দিন অন্ধকারের কাল ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছে ঐ সকল শিশুদের জীবন। সেই সঙ্গে রসাতলে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারই হচ্ছে শিক্ষা। তাই সচেতন মহল মনে করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এই সকল শিশুদের শিক্ষার জগতে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে সরকার সহ এলাকার সচেতন মহলকে।


     এই বিভাগের আরো খবর