সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর বড়খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মন্নান, সেক্রেটারী আব্দুল হালিম ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাহিদ মিয়া গংদের অনিয়ম দূর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও সমিতির তহবিল তছরুপের কারণে দেওলিয়াত্বের মুখে পড়েছে সমিতি। এ নিয়ে সমিতির সদস্যরা গত ২৭ জুন জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে এর অনুলিপি নির্বাহী প্রকৌশলী হবিগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীগঞ্জ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা হবিগঞ্জ, অফিসার্স ইনচার্জ নবীগঞ্জ, উপজেলা প্রকৌশলী নবীগঞ্জ ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নবীগঞ্জ বরাবরে প্রদান করায় আবেদনকারীদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মন্নান, সেক্রেটারী আব্দুল হালিম ও সদস্য মুস্তাহিদ মিয়া গংরা। এ নিয়ে সমিতি সংশ্লিষ্ট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, ২০১০ ইং সালে রাইয়াপুর বড়খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ প্রতিষ্ঠার পর সমিতির সদস্যরা নিয়মিত চাঁদা প্রদান করে আসছিলেন এবং এ সমিতির অনুকূলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে জাইকা কর্তৃক খাল খনন, স্লুইস গেইট নির্মাণ ও বিভিন্ন আর্থিক অনুদান ও সহায়তা দ্বারা সমিতির পরিপূর্ণতা লাভ করলেও বিগত দুই বছর পূর্বে সমিতির সভাপতি মুহিতুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মন্নান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সেক্রেটারী হিসাবে আব্দুল হালিম দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমিতির অন্যতম সদস্য মুস্তাহিদ মিয়া এবং সাধারণ সদস্য আকাবির মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তাদের নিজ ইচ্ছে মাফিক সমিতির তহবিল তছরুপ ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা কর্র্তৃক সমিতির অনুকূলে দেয়া উন্নয়ন অনুদান আত্মসাৎ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সমিতির সদস্যদেরকে প্রশিক্ষনে প্রেরনের স্থলে নিজেদের আত্মীয় স্বজনকে সদস্য বানিয়ে প্রশিক্ষনে প্রেরণসহ সমিতির একাউন্ট থেকে ইচ্ছে মাফিক অর্থ উত্তোলন, ঋন দান এবং এই ঋণ উত্তোলণে অনীহার কারণে সমিতি আজ দেওলিয়াত্বে রুপ নিয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি এলজিইডি ও জাইকার মাধ্যমে অত্র সমিতির প্রশিক্ষিত ২০ সদস্যের অনুকূলে ২০টি সেলাই মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তারা অনেকেই সমিতির সদস্য নয় বরং তারা কেউ কেউ ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সেক্রেটারী এবং সমিতির দায়িত্বশীলদের আত্মীয়স্বজন ও স্বচ্ছল এবং প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য বলে আবেদনকারীরা জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে দেয়া আবেদনে উল্লেখ করেন। এদিকে আবেদনকারীরা জানান, সমিতির সেক্রেটারী আব্দুল হালিম ও সাধারণ সদস্য আকাবির মিয়ার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ১০টি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পরিবারে একটি ও কার্যকরী সদস্য মুস্তাহিদ মিয়ার পরিবারে এবং একই বাড়িতে তার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ৯টি সেলাই মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। আবেদনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবরে এসকল অনিয়ম দূনীর্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম স্থগিতকরণ ও সমিতির ব্যাংক একাউন্ট জব্দসহ সমিতির যাবতীয় বিষয়াদি সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নিমিত্বে সমিতির সদস্যবৃন্দ জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে আবেদন করায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মন্নান, সেক্রেটারী আব্দুল হালিম, সদস্য মুস্তাহিদ মিয়া ও আকাবির মিয়া গংরা আবেদনকারীদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছেন যার ফলে সমিতি সংশ্লিষ্ট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী আইনত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে সমিতির সাধারণ সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী অভিমত প্রকাশ করেন।