,

SAMSUNG CAMERA PICTURES

দুদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন

পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শহরের মানুষ

জুয়েল চৌধুরী ॥ গত দুদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শহরের মানুষ। এলাকাবাসির অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেই হবিগঞ্জ শহর পানিতে তলিয়ে যায়। গত ৪/৫ বছর ধরেই এমন অবস্থা চলে আসছে। হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক সার্কিট হাউজ, পুলিশ সুপারের ও জেলা প্রশাসকের বাস ভবনসহ জালাল স্টেডিয়াম, শ্যামলী, সিনেমা হল, পুরান মুন্সেফী, চিরাকান্দি, নোয়াবাদ, চৌধুরী বাজার, শায়েস্তানগরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিভিন্ন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রহস্যজনক কারনে তা বন্ধ হয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। যেসব ড্রেনের উপর অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ না করা হলে হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা দূর হবে না। সার্কিট হাউজের প্রধান সড়কে কোমর পানি থাকায় যান-বাহন চলাচলে দূর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সার্কিট হাউজ এলাকায় একটি কাঠাল বোঝাই পিকআপ ভ্যান উল্টে মহিলাসহ ৫ যাত্রী আহত হয়েছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। শায়েস্তানগর এলাকার আজিজুর রহমান, রাজু মিয়া, সিনেমা হল এলাকার শফিকুর রহমান, চৌধুরী বাজার এলাকার কামাল মিয়া, শ্যামলী এলাকার উজ্জল মিয়াসহ অসংখ্য পানিবন্দি লোকজন জানান, সরকারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যদি নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেত তাহলে শহরে জলাবদ্ধতা থাকত না। এখনও অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসন এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত ২ দিন ধরে তাদের বাসায় হাটু পানি হয়ে আছে। ফলে তারা ঘর থেকে দৈন্দনিন কাজে বাহিরে আসতে পারছেন না। পানি নিষ্কাশনের বড় ড্রেনগুলো ময়লা আর্বজনা দিয়ে ঢেকে ফেলায় পানি দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না। অনেকে আবার ড্রেনের উপর দেয়াল তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। ফলে অল্প বৃষ্টিতে শহরের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সাবেক এমপি মরহুম আবু লেইছ মুবিন চৌধুরীর বাসা, শায়েস্তানগর হকার্স মার্কেট, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এর পাশের এলাকা, ট্রাফিক সর্দার বাড়ি, শায়েস্তানগর কবরস্থান, পুলিশ ফৌজদারী কোর্ট, পুরাতন পৌরসভা সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় এক হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া এলাকাবাসীর অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছে না। ময়লা আর্বজনার পানি মাড়িয়ে অনেক মুসলী নামাজে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। যদি নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনায় ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে জলাবন্ধতা আর থাকবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর