,

নবীগঞ্জ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে সকল নাগরিক সেবা, নাগরিকদের চরম দূর্ভোগ

সংবাদদাতা ॥ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন প্রদানসহ কাউন্সিলরদের সম্মনি ভাতা প্রদানের দাবীতে গত ১৪ জুলাই থেকে সারা দেশের ন্যায় ঢাকায় অবস্থান ধর্মঘট আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন নবীগঞ্জ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে পৌরসভার সকল কার্যক্রম। সড়ক বাতি, ময়লা আর্বজনা পরিস্কার কার্যক্রম নাগরিক সনদ, জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমসহ সকল প্রকার সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌর নাগরিকরা। গত দুইদিন ধরে সড়ক বাতি বন্ধ থাকায় পৌর এলাকায় ভুতরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আর্বজনা স্তুপ জমে রয়েছে। এতে দূর্গন্ধসহ শহরের পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌর সচিব আজম হোসেন জানান, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন প্রদানের দাবী’র আন্দোলন যৌতিক। কারণ সরকারের সকল নিদের্শনা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়। অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্টানের চেয়ে দ্বিগুন শ্রম ও ডিউটি করে থাকেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অথচ সরকারী তহবিল থেকে আমাদের বেতন না দেয়ার বিষয়টি দুঃখ জনক। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবী মানার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথ থেকে অফিসের কাজে যোগ দিব না। এদিকে স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্টান পৌরসভা। প্রতিদিন শত শত নাগরিকবৃন্দ তাদের প্রয়োজনীয় কাজে পৌরসভায় আসেন। বিশেষ করে নাগরিক সনদপত্র, জন্ম- মৃত্যু সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিনিয়ত নিয়ে থাকেন। এরমধ্যে সড়ক বাতি ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু আন্দোলনের ফলে এ সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত দু’দিন মেয়র আলহাজ¦ ছাবির আহমদ চৌধুরী দুইএকজন এমএলএস নিয়ে অফিস করলেও কোন সনদপত্র বা নাগরিক সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। নবীগঞ্জ পৌরসভার সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শেখ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থান করছে। অন্যান্যের মধ্যে অবস্থান করছেন সহকারী প্রকৌশলী ভবি মজুমদার, সচিব আজম হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার চন্দ, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর সুকেশ চক্রবর্তী, অফিস সহকারী সরাজ মিয়া, কর আদায়কারী ইকবাল আহমদ, টিকাদানকারী এলেমান চৌধুরী, সহকারী কর আদায়কারী পৃথ্বিশ চক্রবর্তী, সুরঞ্জিত দাশ, বনানী দাশ, জুয়েল চৌধুরী, দিপংকর সরকার, উমা রানী বনিক, আবু বক্কর, আব্দুল আহাদ, আছকির মিয়া প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর