,

ইনাতগঞ্জ বাজার কমিটির বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা প্রত্যাখ্যান ॥ এলাকায় উত্তজনা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে ফের আলোচনায় আসলেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কন্টাক্টার মোঃ আজিজুর রহমান। এ রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজিজুর রহমান নির্বাচন সুষ্টু হয়নি অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আবেদন দাখিল করেন। এখন তিনি আবার নির্বাচন সুষ্টু হয়েছে বলে গত শনিবার ফলাফল ঘোষণা করলেন। এ রায়কে অন্য প্রার্থীরা প্রহসনের রায় বলে অবহিত করেছেন। যে সব প্রার্থীদের পরাজিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা  আইনের আশ্রয় নিবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছন। নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশনার আজিজুর রহমানের জেলা প্রশাসকের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২৮/৪/২০১৮ইং তারিখে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার মাসুদ আহমদ জিহাদী, (বর্তমানে মৃত) আব্দুল মালিক। প্রিজাইটিং অফিসার ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। ভোট গননার সময় গড়মিল দেখা দিলে প্রার্থীগণ ও পোলিং এজেন্টদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে ভোট পুণঃগননার দাবী জানান তারা। প্রিজাইটিং অফিসার এ দাবি আগ্রাহ্য করেন। অভিযোগে আজিজুর রহমান উল্লেখ করেন, ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির আহবায়ক বজলুর রশিদ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেননি। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করে নির্বাচনের যাবতীয় কাজ নিজস্ব পরিষদের লোক ইউপি সদস্য আজির হাসান আরজু ও ব্যবসায়ী নিতাই লালকে দিয়ে তার পচন্দ মত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রার্থীগণ ভোট গননার জোরালো দাবি জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসানকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নর্বাহী কর্মকর্তা ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট গননা না করে ব্যালটসহ যাবতীয় জিনিস পত্র সিজার লিষ্ট ও সিলগালা না করে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে যান এবং সবাইকে তার অফিসে যেথে বলেন। পরবর্তীতে ৩০/৪/২০১৮ ইং তারিখে প্রার্থীদের সাথে তিনি অফিসে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে তাড়িয়ে দেন। এ অভিযোগের পরও গত শনিবার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন অফিসে প্রার্থীগণ, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও অপর সহকারী কমিশনার মাসুদ আহমদ জিহাদি  ছাড়াই আজিজুর রহমান হঠাৎ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়াম্যান বজলুর রশিদ ও সচিব রাশেন্দ্র দাশ। এ ব্যাপারে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আমুন উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন গং বলেন, এ ধরনের রায় রহস্যজনক ও এলাকাকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এক তরফা রায় ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি অভিযোগকারী তিনিই বিচারক। বিষয়টি রহস্যজনক। এ ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। তারা বলেন আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে এ   ফলাফলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবো। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার আজিজুর রহমানের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর