,

চুনারুঘাট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা ॥ দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার ৩নং দেউরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অসদাচরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যগণ। এ পরিস্থিতিতে ওই ইউপির সদস্যগণ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তাঁদের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি জমা দিয়েছেন। এর আগে তারা পরিষদ কার্যালয়ে সভা করে চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলের সিদ্ধান্ত নেন। অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক, লক্ষী চরণ বাকতি, মোঃ রজব আলী, নৃপেন পাল, হেলেনা, সাফিয়া খাতুন, বাবুল মিয়া ও শিরিন আক্তার। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি হয়ে কাজ সম্পন্ন না করেই চেয়ারম্যান নিজে ওইসব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরিষদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সদস্যদের সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তেই সব কার্যক্রম চালান। একাধিকবার সতর্ক করার পরও তিনি ক্ষমতার দাপটে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। পরিষদের মেম্বারদের মতামত ছাড়াই বিভিন্ন সময় কার্যবিবরণী খাতায় সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কোন মেম্বারদেরকে তোয়াক্কা না করে মাসিক কোন মিটিং না ডেকে চেয়ারম্যান তার পছন্দমত বিভিন্ন মেম্বার এর নামে কাজ করান যা কোন মেম্বার জানেনা। আর টাকা গুলো জাল দস্তখত দিয়ে উঠিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন চাÑবাগানের ট্যাক্স এর টাকা ২টি ব্রিক ফিল্ড, ১টি বয়লার, ২টি সমিল, ১টি খেয়াঘাট এর ট্যাক্সের এবং চুনারুঘাট সাব রেজিস্টার অফিসের ১% টাকা উঠাইয়া চেয়ারম্যান নিজে খরচ করেন। ক্ষমতার দাপটে তাদের ভাতা পর্যন্ত দিচ্ছেন না। টি, আর, কাবিখা সদস্যদের না জানাইয়া নিজেই ইচ্ছামত কাজ করিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। তাই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়।  একই বিষয়ে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলন, চেয়ারম্যান সাহেবা আমাদের পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সর্বদা খারাপ আচরণ করেন, ‘আমরা চাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছি, তা সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানান। অন্যথায় আমরা ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করব। এদিকে ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কেউ কেউ ইউপি সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন। এর সঠিক তদন্ত হলে সঠিক বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে। এ ব্যাপারে এবিষয়ে জেলা প্রশাসক  বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর