,

নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ মাস যাবত দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন প্রধান শিক্ষক নেই, অত্র প্রতিষ্ঠানের বদলীকৃত প্রধান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে শিক্ষা অফিসারে বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে অবস্থিত ৩৭নং কামারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিহীন, দাপ্তরিক কার্যক্রম সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সঠিক পাঠদান ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এ নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আলোচনা সমালোচনা বিরাজ করছে। সূত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের উল্লেখিত ৩৭নং কামারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত প্রধান শিক্ষক সুজিত চন্দ্র দাসকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার গত ২০ আগষ্ট ২০১৯ইং তারিখে নির্দেশ মোতাবেক একই উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত মুকিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অদ্যবদি নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষক সুজিত চন্দ্র দাসের মধ্যে গভীর সর্ম্পক থাকায় কামারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত সিনিয়র সহকারী শিক্ষকের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। যার কারণে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগে করে বলেন যে, এক ব্যক্তি ১ মাস যাবত বিদ্যালয়ে তার সন্তানের প্রত্যয়ন পত্রের জন্য গেলে কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা তাকে জানান যে, ওই বিদ্যালয়ে এক মাস যাবত প্রধান শিক্ষক নেই। তাই কর্মরত শিক্ষকরা জানান তাদের পক্ষে বিদ্যালয়ের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন গত ৪ আগষ্ট ২০১৯ইং থেকে ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং পর্যন্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় এবং বদলীকৃত প্রধান শিক্ষক সুজিত চন্দ্র দাস সহ উপজেলা শিক্ষা অফিস হইতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের কাছে অদ্যবদি পযর্ন্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নাই। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তার উপর আনিত অভিযোগ গুলো তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ওই স্কুলের কাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছি বিদ্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র সহকারী শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। এর পরেও যদি কর্মরত কোন শিক্ষক দায়িত্ব না পেয়ে থাকেন, তিনি বিষয়টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে দেখবেন কেন বিষয়টি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তার গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলার আংশিক সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন ওই বিদ্যালয়ের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা শিক্ষিকা লাভলী রানী দেবকে ভুলবশত দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবারে তার অফিস থেকে পূর্বের চিঠি পরিবর্তন করে কর্মরত একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত বদলীকৃত প্রধান শিক্ষক সুজিত চন্দ্র দাস কর্মরত সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের কেন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি বিষয়টি নিয়ে তিনি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপ করে বুঝার চেষ্টা করবেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একদিকে কামারগাঁও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পাঠদান সহ দাপ্তরিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আলোচনা সমালোচনা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর