,

বাংলাদেশের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে

সময় ডেস্ক ॥ জিম্বাবুয়ের জার্সির সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক হ্যামিলটন মাসাকাদজার। নিজেদের দেশের ক্রিকেটের অনেক চড়াই উৎরাই দেখেছেন। কিন্তু বোর্ডের দুনীর্তির কারণে তাদের ক্রিকেট অঙ্গনে কালো ছায়া নেমে আসবে হয়তো তিনি ভাবেননি। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সেজন্য হয়তো দীর্ঘ ক্যারিয়ারটা আর দীর্ঘ না করে থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাসাকাদজা। বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় টি-২০ তার শেষ সিরিজ। নেতৃত্ব দিয়ে সেটা নিশ্চয় রাঙাতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। আর তাকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বাংলাদেশে পূর্বে খেলার অভিজ্ঞতা। জাতীয় দলের হয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৮ বছরে বাংলাদেশেই সম্ভবত তিনি বেশি এসেছেন। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল খেলেছেন। মাসাকাদজাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এটাই, ‘আমরা এখানে বেশকিছু টি-২০ খেলেছি। কন্ডিশনও আমাদের জানা। আমরা পিছিয়ে থেকে খেলতে নামছি না।’
জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ আইসিসির সূচির বাইরে একটি সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। খেলার জন্য আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে বিসিবি। একসময় বন্ধুর মতো বাংলাদেশের পাশে থেকেছে জিম্বাবুয়ে। এবার বাংলাদেশ তাই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের খারাপ সময়ে তাদের পাশে থাকছে বলে বিসিবির পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়।
জিম্বাবুয়ে ভালো খেলে তাই দেশের ক্রিকেটে সুবাতাস ফেরাতে চায়। বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো দল। টেস্টেও বাংলাদেশ অতো ধারাবাহিক নয়। আর টি-২০ র‌্যাংকিংয়ে সাতে থাকা আফগানিস্তানের চেয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে অবশ্য ১৪তে আছে। তবে ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলতে নামা মাসাকাদজা মনে করেন, তিন দলের শক্তি প্রায় সমান। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান দারুণ টি-২০ খেলে। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলবে। তারা দু’দলই তাই শক্তিশালী। টি-২০ ফরম্যাটে আমাদেরও সাফল্য আছে। আমরাও পিছিয়ে থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু করছি না। প্রস্তুতি ম্যাচটাও ভালো গেছে। আমরা এখন সামনে তাকাতে চাই। প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতা যাবে না। কারণ মূল ম্যাচটি ভিন্ন হবে।’


     এই বিভাগের আরো খবর