,

বাহুবলে সিএনজির ভাড়া বৃদ্ধি মারাত্মক সংঘর্ষের আশঙ্কা

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সোয়াইয়া আঞ্চলিক রোডের অলুয়া ৪ গ্রামের লোকজনের সাথে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মতপার্থক্যে দেখা দিয়েছে, এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, বাহুবল উপজেলার সোয়াইয়া আঞ্চলিক রাস্তায় হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে দেন সিএনজি শ্রমিকরা, এ নিয়ে প্রায় ১ মাস যাবত অলুয়া ৪ গ্রামের লোকজন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে আসছেন। এক পর্যায়ে অলুয়া ৪ গ্রামের লোকজন এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাস্তায় অবরোধ করে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে সেখানে ছুটে যান বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন সিএনজি শ্রমিক ও আন্দোলনরত এলাকাবাসীকে আলোচনায় বসে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে আন্দোলনরত এলাকাবাসী তাদের অবরোধ তুলে নেন। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক আন্দোলনরত এলাকাবাসী ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের নিয়ে বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের কার্যালয়ে প্রথম আলোচনায় বসলে অলুয়া ৪ গ্রামের শতাধিক লোকজন আসলেও অলুয়া ৪ গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জব্বারসহ বিশিষ্ট মুরুব্বীরা না আসলে তাদের জন্য আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এর মধ্যে অলুয়া ৪ গ্রামের লোকজন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক এর সাথে আলোচনায় বসেন। এই আলোচনায় বিষয়টি সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে গত ৮ই সেপ্টেম্বর বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের কার্যালয়ে এলাকাবাসী ও সিএনজি শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলোচনায় বসেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর নুর, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শফি আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ আলোচনা সভায়  আন্দোলকারীদের পক্ষে কেউ না আসলেও ৫ টাকা সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর সিদ্ধান্তটি মেনে নিতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। তারা ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গত রবিবার বিকেলে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক এর সাথে দেখা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, অলুয়া ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জব্বার, সাবেক মেম্বার মখছুদ মিয়াসহ এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীয়ান। এ সময় সকলের উপস্থিতিতে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক আগামী ২১ই সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি সমাধানের আগপর্যন্ত পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া চলবে বলে উপস্থিত সবাইকে জানিয়ে দেন। আর এদিকে হঠাৎ করে বাহুবল টু সোয়াইয়া আঞ্চলিক রাস্তায় সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিকার চেয়ে অলুয়া ৪ গ্রামের পক্ষে প্রায় ২ শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত একটি স্মারক লিপি হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে মখছুদ মেম্বার বাদী হয়ে একটি স্মারক লিপি দিয়েছেন। এ ঘটনায় অলুয়া ৪ গ্রাম ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, এলাকাবাসী জানিয়েছেন নিয়ে যে কোন সময় মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে অলুয়া ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জব্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখানে স্বাধীনতা বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু নামধারী লোকজন রয়েছেন তারা সিএনজি শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন শুধু তাই নয় সিএনজি শ্রমিকরা উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শফি আহমেদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন সিএনজি শ্রমিকরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছে। এ বিষয়টি ভিন্নভাবে নিতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর