,

হবিগঞ্জ সরকারি বিকেজিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সরকারি বিকেজিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিবাহ, দাঙ্গা, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ ও মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও আমাদের উন্নতি বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার হবিগঞ্জর পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এ রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ম স্থান অর্জন করে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মুনীরা চৌধুরী জিশা, ২য় স্থান অর্জন করে ৯ম শ্রেণীর রিংকি সূত্রধর ও ৩য় স্থান অর্জন করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নাফিসা আজিজ বুশরা। পরে পুরস্কার বিতরণীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম-সেবা)। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি বলেন-মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের চোঁখে সমস্যা হচ্ছে। অকারণে শিক্ষার্থীদের চোখ নষ্ট যাচ্ছে। এতে অল্প বয়সেই তাদের চশমা ব্যবহার করতে হচ্ছে। মোবাইলের অপব্যবহারে সামাজিক বন্ধন নষ্ট হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকবে হবে। স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়ংকর। শিক্ষার্থীরা যাতে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না পারেন জন্য তিনি অভিভাবকদের সচেতন থাকবে হবে। তিনি বলেন প্রত্যেকের ছেলে/মেয়েকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। ছেলে/মেয়েদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুললে পরিবারের সুখ-শান্তি আসবে। শিক্ষার্থীদের উচ্চ পর্যায়ে যেতে হলে নিয়মিত স্কুলে যেতে হবে। স্কুল থেকে বাসা-বাড়িতে মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে। মা-বাবার কথা শুনতে হবে। পাশাপাশি গুরুজনদের সম্মান করতে হবে। অবসর সময়ে খেলাধুলা করতে হবে। খেলাধুলা করলে মন ভালো থাকে এবং ভাল মানুষও হওয়া যায়। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে। ইভটিজিং প্রতিরোধেও ছাত্র/ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন-হবিগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুন্দর জেলা। কিন্তু এ জেলার একটি কংলক আছে। সেটি হলো দাঙ্গা। দাঙ্গার কারণে জেলার সুমার বিনষ্ট হচ্ছে। ছোটখাটু বিষয় নিয়ে এ জেলার অধিবাসীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যাচ্ছেন। সংঘর্ষে অনেক পরিবারকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে। এই সংঘর্ষ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে। বাবা, ভাইসহ পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িত হতে চাইলে ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকদের বুঝিয়ে সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখতে হবে। তিনি বলেন-জঙ্গিবাদ ধর্মের অপব্যাঘা। কাউকে বোমা মেরে হত্যা করে জান্নাতে যাওয়া যাবে না। উচ্চ শিক্ষা গ্রহনকারী অনেক শিক্ষার্থীদের ইসলামের নামে অপ-ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জড়িত করছে। জঙ্গিবাদ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে। দুর্বল হলেই সংখ্যালঘু। হিন্দু-মুসলমান বলতে কিছু নেই। পুরস্কার বিতরণীয় অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনকারী সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, বিকেজিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার কর্মকার, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আব্দুল কবির, গালর্স গাইড লিডার সহকারি শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাশ তালুকদার, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম সুরুজ আলী প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর