,

হবিগঞ্জে তিন দিনে দেড়শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

সংবাদদাতা ॥ অব্যাহত রয়েছে হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী উদ্ধার কার্যক্রম। এক্সকেভেটর মেশিন দ্বারা গত তিন দিনে প্রায় দেড়শ’ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। শিগগিরই পুরো নদী দখলমুক্ত হবে বলে আশাবাদী জেলা প্রশাসন। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলেই শুরু হবে ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের মাহমুদাবাদ এলাকায় উচ্ছেদ করা হয়েছে প্রায় ৩০টি স্থাপনা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব কান্তি রুদ্র ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা। এর আগে গত দুইদিনে মাছুলিয়া থেকে মাহমুদাবাদ এলাকা পর্যন্ত ভাঙ্গা হয় আরো প্রায় ১২০টি স্থাপনা। মাহমুদাবাদ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তি মালিকানাধীন
জায়গার বাইরে পুরাতন খোয়াই নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। নদীর অংশে পড়া প্রায় ৩০টি পাকা ও আধাপাকা বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও অনেকের সীমানা প্রাচীর, দোকান-পাটসহ নানা ধরণের স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে। অভিযানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব কান্তি রুদ্র জানান, গত বুধবার অভিযানে প্রায় ৩০টি এবং তিন দিনে মোট প্রায় দেড়শ’টি স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ছিল পাকা বাড়ি। পুরো খোয়াই নদী দখলমুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অনেক অবৈধ দখলদার নিজে থেকেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে শিগগিরই উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণী-পেশার প্রায় ৬০০ পরিবার এবং প্রতিষ্ঠান পুরাতন খোয়াই দখল করে রেখেছে। এরই মধ্যে এদের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে। যাদের লিজ দেওয়া হয়েছে, এগুলো বাতিল করা হবে। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, জেলা পরিষদ থেকে মাছুলিয়া পর্যন্ত খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে পুরাতন নদী উদ্ধার করা হবে। নদীর আড়াই কিলোমিটার এলাকাকে নান্দনিক করাসহ ‘খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে এক হাজার ৮৭২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। যা বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পেলে শিগগিরই শুরু হবে এর কাজ।


     এই বিভাগের আরো খবর