,

হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছে ইফাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জের হাওর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর নির্মিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করছেন কানাডীয়ান ডেলিগেশন ইফাদ এর অর্থ যোগাদাতা মিঃ স্টিফেন পর্টার। তিনি গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবাগ বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মিত সেট, পশ্চিম ভাগ রাস্তার স্লেপ, কাজাউড়া কিল্লা, আজমিরীগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের উন্নয়ন প্রকল্প, উদেবপুর গ্রামের প্রতিরা দেওয়াল ও উদেবপুর গ্রাম অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ইফাদের প্রকল্পের কাজের উপকারী ভোগী নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। হাওরে অঞ্চলের কাজগুলো দেখেও শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের গল্প শুনে অভিভূত হন এবং আরো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তাবায়নে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য আশ্বস্থ করেন। পরিদর্শন শেষে প্রকল্প পরিচালক (হিলিপ) গোপাল চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের জানান, হাওর অঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবন মান উন্নয়নে দেশের ৫টি জেলা ও ২৮ উপজেলায় কাজ করছে ইফাদ। এ প্রকল্পের মূল লক্ষই হচ্ছে হাওর অঞ্চলের মানুষের দারিদ্রতা দুরীকরণে সহায়তা প্রদান করাসহ জীবন মান উন্নত করা। তিনি বলেন-আমাদের দেশে হাওর অঞ্চলে নানা সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ইফাদ। এক সময় হাওর অঞ্চলকে বলা হতো শুকনায় পা, আর বর্ষায় নাও। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেটে হাওর অঞ্চলের মানুষের চলাচল করতে না হয়, এজন্য রাস্তা নির্মাণ করছে। নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করছে। তিনি বলেন-হাওর অঞ্চলের মানুষ বোরো চাষাবাদের উপর নির্ভশীল। কিন্তু যখন বোরো জমিনের ধান ঘরে তোলার সময় তখনই আগাম বন্যা পানি এসে ধান তলিয়ে নিয়ে যায়। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। সে জন্য কৃষকদের ৪/৫ দিন আগে কৃষকদের কাছে সর্তক বার্তা পৌছানো যায়, সে দিকে কাজ করছে ইফাদ। আগে সর্তক বার্তা পৌছে দিলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। তারা জমি থেকে ধান কেটে ফেলবেন। সেই ধান শুকানোর জন্য আমরা কিল্লা নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। কিল্লায় কৃষকরা ধান শুকাতে পারবেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন-২০১৭ সালে হঠাৎ করে বন্যা এসে কৃষকদের জমি পানিতে তলিয়ে নিয়ে যায়। সে সময় যে কৃষকরা জমি কেটেছিলেন তাদের শুকানোর জায়গা ছিল না। সেখানে ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কিল্লা নির্মান করা ছিল। সেই কিল্লায় কৃষকদের ৪ হাজার মন ধান রা পায়। তিনি শুধু তাই নয়, প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কাজের উপরে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বাংলাদেশ কারীগরী শিক্ষা বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট প্রধান করা হবে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশে গেলে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও বেকার যুবকদের ড্রাইভিং, ফ্রিজ, এসি রিফারিংয়ের কাজ শেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি ২ হাজার মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাভলম্ভী করে তোলা হচ্ছে। হাওর অঞ্চলে সেনিটারী ল্যাপটিন প্রদান করা হচ্ছে। এতে হাওর অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। পরিদর্শনকালে মিঃ স্টিফেন পর্টারের সাথে ছিলেন ইফাদের কান্ট্রি প্রোগাম অফিসার সেরিনা তাবাসুম, প্রকল্প পরিচালক গোপাল চন্দ্র সরকার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ তানজির উল্লাহ সিদ্দিকী, উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোসাদেকুল ইসলাম, আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই মফিদুল ইসলাম, বানিয়াচং থানার এসআই আমিনুল ইসলাম, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম সুরুজ আলী, আজমিরীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক হবিগঞ্জের মুখের আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন বণিক, দৈনিক প্রভাকরের প্রতিনিধি মিল্লাদ মাহমুদসহ এলজিইডি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


     এই বিভাগের আরো খবর