,

কাজের লোক আবুলকে গ্রেফতার করছে পুলিশ নবীগঞ্জে ২ সন্তানসহ গৃহবধূর মৃত্যু ঘটনায়

স্টাফ রিপোটার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামে দুই সন্তানসহ গ্রহবধুর’র মৃত্যূর ঘটনায় স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাড়ীর কাজের লোক বানিয়াচং উপজেলার ওমরপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার পুত্র আবুল হাসানকে গত সোমবার আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, গত ২২ মার্চ রবিবার সকালে পুলিশ নবীগঞ্জের বড় ভাকৈর ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রুমেনা খাতুন (৩০) কে গাছের ঢালের সাথে ঝুলন্ত ও ছেলে মুসা মিয়া (৭), কন্যা মুসলিমা খাতুন (৫) এর মৃত দেহ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। রুমেনা বেগম ছেলে মেয়েদের পানিতে ঢুবিয়ে নিজে পুকুর পাড়ের জামরুল গাছের ঢালে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাকি পারিবারিক কলহের জেরধরে স্বামী ফরিদ মিয়া স্ত্রী পূত্রকন্যাকে নির্মমভাবে খুন করেছে এ প্রশ্ন এলাকার মানুষের মূখে মূখে নানা ভাবে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তখন পুলিশ ফরিদ মিয়াকে থানা হাজতে আটক করে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং লাশ ৩টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে হবিগঞ্জ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে, গত শনিবার ২২মার্চ রাতে খাওয়া দাওয়া করে ফরিদ মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তানরা অন্যান্য দিনের মতো ঘুমিয়ে পরেন। রাত অনুমান ৩টার দিকে ফরিদ মিয়া দেখেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা তার পাশে নেই। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে পাশে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ফরিদ মিয়া। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ির পাশে পুকুর পারে একটি জারুল গাছে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তারপর পাশেই বাড়ির পুকুরে দুই সন্তানের মৃতদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন তিনি। এসময় তার সুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এবং রুমেনার বাবা উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামের মাসুক মিয়া জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। প্রায় ২মাস আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে রুমেনা ও তার দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি আটক ছিল। এক পর্যায়ে শালিসে মিমাংসার মাধ্যমে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে। রুমেনার বাবা ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের দাবী রুমেনার স্বামী ফরিদ মিয়া তাদেরকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক তৈরী করেছে। এব্যাপারে নিহত গৃহবধূ রুমেনার চাচা আশোক মিয়া বাদি হয়ে রুমেনার স্বামী ফরিদ মিয়া প্রধান আসামী করে ছয়জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত ২৪ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত ফরিদ মিয়াকে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। থানায় রিমান্ডে ফরিদ মিয়া গুরুত্বপূর্ন তত্ত্ব দেয় পুলিশকে। এবং এর ২দিন পরই গ্রেফতার করা হলো কাজের লোক আবুল হাসানকে। গতকাল আটককৃত আবুল হাসান কে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর