,

করমেলার মধ্য দিয়ে কর প্রদানে সচেতনতা সবার মধ্যে ব্যাপকভাবে ছাড়িয়ে যাবে- জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ

‘আপনারা পৌরকর পরিশোধ করুন।
আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব- মেয়র মিজানুর রহমান মিজান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘হবিগঞ্জ পৌরসভা শহরকে সুন্দর করতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করছে। এ উদ্যোগকে আরো বেগবান করতে সময়মতো পৌরকর পরিশোধ করা প্রয়োজন।’ করমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ এসব কথা বলেন। গত শনিবার সকালে হবিগঞ্জ পৌরসভায় আয়োজিত দুইদিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই করমেলার মধ্য দিয়ে কর প্রদানে সচেতনতা সবার মধ্যে আরো ব্যাপকভাবে ছাড়িয়ে যাবে।’ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘হবিগঞ্জে পুরাতন খোয়াই নদীর জায়গা অবৈধ দখলদারমুক্তকরনের যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। পুরাতন খোয়াই নদীর পুরো জায়গা উদ্ধার করা হবে।’ তিনি আরো বলেন ‘খোয়াই নদীকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জকে নান্দনিক করে গড়ে তোলার জন্য ২ হাজার কোটি টাকার যে প্রকল্প তা’ নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সেই স্বপ্ন পুরনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’ মাহমুদুল কবির মুরাদ বলেন, ‘কিছু ভূমি দস্যূ আছেন যারা সুযোগ পেলেই অবৈধভাবে জায়গা দখল করেন। এ ধরনের মনমানসিকতা হতে বের হয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে পৌরসভার ডাম্পিং স্পট বাস্তাবায়নের জন্য কাজ হচ্ছে। ডাম্পিং স্পট বাস্তবায়ন হলে পরিবেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিক বিবেচনা করে বর্জ্য ব্যব¯’াপনা গড়ে তোলা হবে।’ পানির বিল ও করমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন ‘আপনারা পৌরকর পরিশোধ করুন। আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’ মেয়র বলেন ‘ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ হতে দিনে রাতে পরিস্কার পচ্ছিন্নতার কাজ পরিচালনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন ‘শীঘ্রই শ্বশানঘাট রোডে নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। এ প্রকল্প চালু হওয়ার পর ৩০ বছরেও পৌরবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহের কোন সমস্যা হবে না।’ মেয়র করমেলার প্রথম দিনেই পৌরকরদাতের মধ্যে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ নূরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম ও পৌর সচিব মোঃ ফয়েজ আহমেদ। উদ্বোধনী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, গৌতম কুমার রায়, শেখ নূর হোসেন, মোঃ আলমগীর, অর্পনা পাল, কর আদায়কারী ইসরাত জাহান নীলাসহ পৌরসভা কর্মকর্তাবৃন্দ। পৌরভবনে আয়োজিত রবিবার ও সোমবার দুদিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকরমেলায় প্রতিদিন সকাল হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর গ্রহন করা হবে। নাগরিকগন ১০ শতাংশ রিবেটে পৌরকর দিতে পারবেন। করদাতাগনকে সম্মাননা সনদ ও গাছের চারা উপহার দেয়া হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর