,

হবিগঞ্জ পৌরসভার করমেলায় দু’দিনে মোট আদায় হয়েছে ৪১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ‘আমি পৌরপরিষদকে পরামর্শ দিয়েছি যাতে পৌরবাসীর উপর করের বোঝা চাপানো না হয়। পৌরকর বৃদ্ধি না করে করের পরিধি বাড়িয়ে কর আদায় বৃদ্ধি করা যায়।’ হবিগঞ্জ পৌরসভার দুদিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জের সংসদ সদস্য এড. মোঃ আবু জাহির। তিনি বলেন ‘পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও তার পরিষদ পৌরবাসীর পৌরকর বৃদ্ধি করেনি বলে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’ এড. মোঃ আবু জাহির বলেন, ‘ইতিপূর্বে হবিগঞ্জে কোনদিন কোন স্থানীয় সরকারী মন্ত্রী আসেননি। মুলত হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নকে তরান্বিত করার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। এতে করে ভবিষ্যতেও হবিগঞ্জ পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে।’  সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন সে প্রত্যাশা আমি পূরন করতে চাই। আপনারা দেখেছেন ইতিমধ্যে আমি হবিগঞ্জ শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে দিনে রাত কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিভিন্ন এলাকায় ডাষ্টবিন দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরো দেবো।’ মেয়র বলেন ‘আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছ থেকে হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের আশ্বাস পেয়েছি। সংসদ সদস্য এড. মোঃ আবু জাহির আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’ করমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর নিরূপন ও আদায় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, গৌতম কুমার রায়, মোঃ আব্দুল আউয়াল মজনু, মোঃ আলমগীর, পিয়ারা বেগম ও অর্পনা পাল। সভা শেষে করদাতাদের হাতে পৌরসভার কর সম্মাননা সনদ ও গাছের চারা তুলে দেন প্রধান অতিথি এড. মোঃ আবু জাহির এমপি। করমেলার দ্বিতীয় দিনে পৌরকর আদায় হয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। পানির বিল আদায় হয়েছে ৭৮ হাজার টাকা। দুইদিনে পৌরকর আদায় হয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকা ও পানির বিল আদায় হয়েছে ২ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। করমেলায় দু’দিনে মোট আদায় হয়েছে ৪১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা।


     এই বিভাগের আরো খবর