,

দিরাইয়ে কান আর পুরষাঙ্গ কেটে পেটে দুটি ছুরি গেঁথে শিশু হত্যা

আপন মানুষের বর্বরতার শিকার তুহিন!

সংবাদদাতা:: একটি নৃশংস সংবাদে সোমবার ঘুম ভাঙ্গে সুনামগঞ্জের হাওর তীরবর্তী উপজেলা দিরাইয়ের বাসিন্দা। এই উপজেলার পাঁচ বছরের একটি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বর্বোরোচিতভাবে। হত্যার পর গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো তুহিন আহমদ নামের সেই শিশুটির মরদেহ। পেটে দুটি ছুরি গাঁথা। কান আর পুরষাঙ্গ কাটা। গলায়ও আঘাতের চিহ্ন।শিশুর মরদেহ দেখে এলাকার সবাই বলছেন, এমন নৃশংসতা এই এলাকায় কেউ দেখেননি আগে। উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী বললেন, এলাকায় হত্যাকান্ডের ঘটনা আরও ঘটেছে। কিন্তু এরকম নৃশংস ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। একটি শিশুকে এত বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে, দেখলেই গা শিউরে ওঠে। নিহত তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছিরের পুত্র। পুলিশ বলছে, তুহিন হত্যায় পরিবারের সদস্যরাই জড়িত। গতকাল সোমবার দুপুরেই এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, চাচা নাছির উদ্দিন, প্রতিবেশি আজিজুল ইসলাম, চাচী খায়রুন্নেছা, চাচাতো বোন তানিয়া বেগমসহ ৭ জনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। হত্যাকান্ডে এদের ২/৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বিকেলে দিরাই থানায় সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা তুহিনের পরিবারের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ২/৩ জনের সম্পৃক্ততা আমরা পেয়েছি। যে ২/৩ জন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারা পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, প্রতিহিংসাবশত হতে পারে, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হতে পারে, আবার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে; তদন্তের স্বার্থে এখন সবকিছু বলা যাচ্ছে না। মিজানুর রহমান আরও বলেন, নিহতের বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন মামলার আসামি। এলাকায় তাদের একাধিক প্রতিপক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। তিনি বলেন, এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সবাইকে আটক দেখানো হচ্ছে না। পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।”
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতের খাবার শেষে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে তুহিন। রাত ৩ টার দিকে তুহিনের এক চাচাতো বোন ঘুম থেকে ওঠে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। এরপর তিনি সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলেন। তখন সবাই জেগে উঠে দেখেন ঘরে তুহিন নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রাস্তার পাশে গাছে তুহিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
তুহিনের মামা নুরুজামাল বলেন, জমিজমাসহ গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহুদিন যাবত গ্রামের দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল, কিন্তূ কে বা কারা তুহিনকে এই নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি না। এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


     এই বিভাগের আরো খবর