,

শহরে হাসপাতাল-থানার মোড়ে অবৈধ দোকানপাট, অপরাধীদের অভায়াশ্রয় রাতে তাড়িয়ে দিলেও দিনে যেই-সেই

জুয়েল চৌধুরী:: হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে আবারো জমে উঠেছে অস্থায়ী হকার্স ব্যবসা। হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের সামন থেকে থানার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে এ স্থাপনাগুলো সকাল থেকে শুরু করে সারা রাত ব্যাপী খোলা থাকে। এ জায়গাটি শহরের আকর্ষনীয় স্থান হওয়ায় সবসময় রমরমা অবস্থা থাকে এখানে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, দিন ও রাতের বিভিন্ন সময় এক শ্রেনীর অপরাধীদের আড্ডা থাকে এখানে। হবিগঞ্জ সদর থানার বিভিন্ন জরুরী অভিযানের সুত্র ফাঁস করে টিমকে পুলিশের হাত থেকেই রক্ষা করাই এদের মুল লক্ষ্য। মাঝে-মাঝে চা-কলার, পান-সিগারেট এর পাশা-পাশি এগুলোতে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যও বিক্রি করতে  দেখা যায়। গত কিছুদিন আগে ওই স্থান থেকে সাহাব উদ্দিন নামে এক মাদক বিক্রেতাকে মাদকসহ হাতে-নাতে আটক করে পুলিশ। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের প্রবেশ গেইটের দুই পাশে এ দোকান গুলো থাকায় হাসাপাতালে আগত রোগীদেরও পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সরকারী জায়গায় ব্যবসা করলেও বিপদগ্রস্থ রোগীদের কোন ছাড় দেয় না এরা। বেকায়দায় ফেলে ৫ টাকার জিনিষ ১০ টাকা দাম হাকেঁ। দ্রব্যাদিতেও থাকে ভেজাল এবং মেয়াদ উর্ত্তীন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জানান, রাস্তার দুইপাশে দোকান থাকায় জরুরী রোগী নিয়ে বের হতে বিরাট সমস্যা হয়। তবে রোগী পরিবহনকারী কোন গাড়ীর ধাক্কায় আবার ওই দোকান গুলোর কোন ক্ষতি হলে দিতে হয় মাশুল। একটি বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, ওই দোকান গুলোর বেশীর ভাগই স্থানীয়রা দখল করে ব্যবসা বা ভাড়া দিয়ে থাকে। ফলে তারা শরীরের জোর কাটিয়েই নানা অন্যায় করে। আর হাসপাতালে আগত বিপদগ্রস্থ মানুষেরা তা মুখ বুঝে সহ্য করে। মাঝে-মাঝে রাতে পুলিশের ঝটিকা অভিযানে এগুলো তাড়িয়ে দিলেও, সকালে আবার যেই-সেই.. এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, থানা ও হাসপাতালের সামনে কোন অবৈধ দোকানপাট থাকবে না। এদের রাতে তাড়িয়ে দিয়েছি। দিনের বেলা বসলে আবার তাড়ানো হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর