,

দিরাইয়ে বাবার কোলেই তুহিনের গলা কাটা হয়….পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান

সংবাদদাতা::সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবাই বাইরে নিয়ে যান। পরে কোলে থাকা অবস্থাতেই শিশুটির গলা কাটা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুহিন হত্যার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত রবিবার রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে খুন করেন। খুনের পর কান ও লিঙ্গ কেটে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় গাছের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।পুলিশ সুপার আরো বলেন, শিশু তুহিন নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাটি আমরা অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঘটনার পর দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যাদের সন্দেহ করেছি তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছিলাম। তাদের মধ্যে তুহিনের চাচা নাসির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ছেলেটির বাবা ও ২ চাচাকে ৩ দিনের রিমান্ডে  নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তুহিন হত্যাকান্ড তদন্তে আমাদের মাননীয় আইজিপি স্যার এবং সিলেট অঞ্চলের ডিআইজি স্যার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন। আমরা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেছি। কারা মারছে, কেন মারছে, কিভাবে মেরেছে পুরো বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমি আশা করি, অতি শিগগির মামলাটির চার্জশিট আদালতে দাখিল করে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত রবিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যা করে লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর