,

শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত

ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে- এসপি

জুয়েল চৌধুরী:: শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত সর্দার নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকদে সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ পিপিএম বিপিএম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ৪টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পুরাসুন্ধা বাঁশ বাগান এলাকায় ডাকাত সর্দার নিহত কুদরত আলীসহ ১০/১৫ জন ডাকাত ওই এলাকায় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদেরকে ধরতে অভিযান চালায় এ সময় ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে তাদের উপর পাল্টা গুলি ছুড়লে এসে বন্দুক যুদ্ধে কুদরত আলী গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবুল কালাম, মোজাম্মেল হক, কনস্টেবল রনি, জয়নুল হক, রিপন ও নুরুল ইসলাম। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কুদরত আলীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। সে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের ওমর আলীর পুত্র। সে সম্প্রতি ডাকাতির মামলায় জেলহাজত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুটি রামদা, পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহত ডাকাত কুদরতের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। সে আন্তঃ জেলা বিভাগীয় ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামসহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।


     এই বিভাগের আরো খবর