,

পরিত্যক্ত খোয়াই’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত

মোহাম্মদ আলী মমিন:: হবিগঞ্জবাসীর বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন “খোয়াই ঝিলমিল” প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে জেলা প্রশাসন খোয়াই নদীর পরিত্যক্ত ভূমি থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করছে। ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত নদীর মধ্যের দালানকোঠাসহ সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হলেও গাছপালা ঝোপ জঙ্গল না সরানোতে প্রকল্পের এলাইনমেন্ট দৃশ্যায়ন হচ্ছে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গতকাল রোববার হাসপাতাল সংলগ্ন বহুতল আম্বিয়া ভিলা ও আতাউর লন্ডনীর ভবনের পিছনের ১০ ফিট ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। পূর্বদিন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন সংলগ্ন চাঁদের হাসির অবৈধ স্থাপনা ও হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংস্থার অবৈধ ভবন এবং ডাঃ আবু সুফিয়ানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলে প্রমাণ করা হয়েছে আইনের উর্ধ্বে কেহই নন। ঐদিন স্টাফ কোয়ার্টার, সবুজবাগ এবং মুসলিম কোয়ার্টারের বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনায় “লাল দাগ” দেয়া হয়েছে এবং ভাঙ্গার কাজও অনেকটা শেষ হয়েছে। হাসপাতাল সংলগ্ন জেলা পরিষদের ব্যবসায়িক সকল দোকানকোঠায়ও লাল ক্রস চিহ্ন দেয়া হয়েছে। ম্যানুয়েলী ভাঙ্গার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে কচ্ছপগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে অবৈধ স্থাপনাকারীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণ এক্সেভেটর ব্যবহারের প্রত্যাশা করছে। উচ্ছেদ অভিযানে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত কঠোর সিদ্ধান্ত ও মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ “খোয়াই ঝিলমিল” প্রকল্প বাস্তবায়নে অনড় ও অটল। তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সফল উচ্ছেদ কার্যক্রমে সকলের সক্রিয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর