,

নুসরাত হত্যার সব আসামির ফাঁসি

সময় ডেস্ক :: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আলোচিত এ মামলার ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সোনাগাজীর চরকৃষ্ণজয়ের কলিম উল্যাহর ছেলে এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা (৫৭), চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মো. আহসান উল্যাহর ছেলে ও মাদ্রাসা ছাত্রদলের কথিত সভাপতি নুর উদ্দিন (২০), চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূইয়া বাজার এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে ও মাদ্রাসা ছাত্রলীগের কথিত সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সদ্য সাবেক) ও চরগণেশ গ্রামের আহসান উল্যাহ ছেলে মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ আল কাউন্সিলর (৫০), উপজেলার পূর্ব তুলাতলী গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ (১৯), সফরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাফেজ আবদুুল কাদের (২৫), সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ও উত্তর চারচান্দিয়া গ্রামের ইবাদুল হকের ছেলে আবছার উদ্দিন (৩৩), চরগণেশ গ্রামের আবদুল আজিজের (পালক বাবা) মেয়ে কামরুন নাহার মনি (১৯), লক্ষীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদন্ডদৌলার ভাগ্নি উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা (১৯), পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের আবদুল শুক্কুরের ছেলে আবদুুর রহিম শরীফ (২০), চরগণেশ গ্রামের জামাল উদ্দিন জামালের ছেলে ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), চরগণেশ গ্রামের এনামুল হক ওরফে মফিজুল হকের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), তুলাতলী গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে মোহাম্মদ শামীম (২০), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরচান্দিয়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৫৫), উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭শে মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে রাফির পরিবারকে হুমকি  দেয়া হয়।
৬ই এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলীম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যান রাফি। এ সময় বোরকা পরিহিত কয়েকজন তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাজি না হলে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় তারা।


     এই বিভাগের আরো খবর