,

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রমরমা প্রসব বানিজ্যের অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে রমরমা প্রসব বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বাচ্চা প্রসব করলেই দিতে হয় নার্স-আয়াদের ২-৩ হাজার টাকা। নরমাল ডেলিভারী হলে ২ হাজার, সিজার করালে পর্দার আড়ালে  আরও ২ হাজার। না দিলে শুনতে হয় ভয়ঙ্কর সব অলক্ষণে সংবাদ। সুত্রে জানা যায়, বৃহৎ জনসংখ্যা অত্যাধুসিত এ জেলার একমাত্র চিকিৎসার আশ্রয়স্থল হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন  গড়ে ২০-৩০ জন প্রসুতি মহিলা সেবা নিতে আসেন। এদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র ও নিন্ম বিত্ত পরিবারের কেটে খাওয়া মানুষ। হাসাপাতালে এসে বেডে জায়গা না পেয়ে মেঝের পলিথিনের বিচানায় ঠাই হয় এদের। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ইনজেকশন না পেয়েই হজম করতে হয় অপ্রয়োজনীয় প্রসব ব্যথা। মধ্য রাতে প্রসব ব্যথা হলে নার্স থাকেন না, থাকেন ইন্টারর্নি শিক্ষার্থীরা। ইন্টারর্নি ও আয়ারাই প্রসব করিয়ে থাকেন। অদক্ষ হওয়ায় টানা-হেছড়া করে নবজাতক ও মায়ের বিরাট ক্ষতি করে থাকেন অদক্ষ নার্সরা। কোন ক্ষতি হলে বাইরে এসে বলে, ‘আপনাদের হাসপাতালে আসতে অনেক দেরী হয়েছে, আরও আগে আসা উচিত ছিল’। গ্রাম থেকে আসা গরীব অসহায় মানুষ গুলো তখন ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে তাদের কথা শুনা ছাড়া আর কোন উপায় তাকে না। সুত্রে আরো জানা যায়, ওই ওয়ার্ডে কর্মরত প্রত্যেকটি নার্স ও আয়ারা একেকটা প্রাইভেট ক্লিনিকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে আসছেন। সিজার রোগী পাঠালে তারা পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের কমিশন। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ রথীন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, ‘বাচ্চা প্রসব করে টাকা নেয়ার কথা শুনেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব’।


     এই বিভাগের আরো খবর