,

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠানের ইন্তেকাল

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ও হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আলী পাঠান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নাল্লিাহি….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্য জনিত কারনে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মরহুমে ১ম জানাযার নামাজ রবিবার সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ও দ্বিতীয় জানাযা মরহুমের গ্রামের বাড়িতে বাদ জোহুর অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে ভারতের দেরাদুন হতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সাল হতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হিসেবেও অত্যান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ৩০ জুন মাধবপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে পিতা শহীদ তাহিদ হোসেন পাঠান-এর সংসারে ও মা মরহুমা সুলতানা বেগমের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জিবনে তিনি স্থানীয় কাটিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি প্রাপ্ত ও মাদাহরি লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে বি.কম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি একাধারে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের তৎকালিন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক, মাধবপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, জাতীয় সমবায় ইউনিয়ানের পরিচালক ছিলেন। তিনি মাধবপুর ক্ষেতে পানি শ্যামল প্রকল্পে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। কর্ম জিবনে তিনি ভারত, শিউল ও জাপান সফর করেন। সংসার জিবনে ২ ছেলে ৩ কন্যা রেখে গেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর