,

চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ১৩ টি রকেট লঞ্চারসহ বিস্ফোরক উদ্ধার

জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্য থেকে আবারও সেনাবাহিনী ও র‌্যাব যৌথ অভিযানে ১৩টি আরপিজি গোলা (রকেট লঞ্চারের গোলা) ও বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব ৭-এর অপারেশন কর্মকর্তা (অপস ও মিডিয়া) সহকারী এসপি মোহাম্মদ মাশকুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো খুব নাজুক অবস্থায় রয়েছে জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং র‌্যাবের একটি দল সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার করে। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩ রাউন্ড আরপিজি গোলা এবং কিছু বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদল গোলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র‌্যাবের সদস্যরা। এরপর, ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি-নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবারও সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর