,

ব্রিটিশ ইতিহাসে ১ম যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে লড়তে যাচ্ছেন দুই নারী

সময় ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পদাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সে পাশ করে ইতিহাস গড়েছেন দুই নারী। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে তারা লড়াই করতে পারবেন। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী সেনা এমন পরীক্ষায় টিকে গেলেন, যাদের প্রধান কাজ খুব কাছ থেকে শক্রুদের হত্যা করা। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। গত শুক্রবার নর্থ ইয়র্কশায়ারের ক্যাটিরিকে পদাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সে (আইটিসি) প্রাইভেটস চেলসি মুন্ডি ও টেইলার লুইস পাশ করেন। এবার তারা নিজেদের আলাদা রেজিমেন্টে যোগ দেবেন। এই দুই নারীর নতুন ইতিহাস গড়ায় তাদের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লর্ড ড্যানাট। নতুন দুই নারী সহকর্মীকে স্বাগত জানাতে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা যাতে বড় মনের পরিচয় দেন, তিনি সেই আহ্বান জানিয়েছেন। নিয়োগ পেতে ৫৫ পাউন্ডের গাঁটরি নিয়ে উঁচুনিচু পথে তাদের দৌড়াতে হয়েছে। হামলার প্রশিক্ষণ ও বাস্তবিক সামরিক মহড়াও মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের। সেনাবাহিনীর সম্মুখসারিতে নারীদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কয়েকশ বছর ধরে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই বারণ উঠিয়ে দেন। তবে নারীরা এক্ষেত্রে কতটা ভূমিকা রাখতে পারেনা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন সমালোচকরা। ওই দুই নারীর সফলতা সেই সমালোচনার পথও বন্ধ করে দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আইটিসিতে পাশ করাকে নিজের জন্য সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ২৬ বছর বয়সী মুন্ডি। ২৬ সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণে একজন সেনাকে মারাত্মক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা ছাড়াও অস্থায়ী কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের কলাকৌশলও তাদের রপ্ত করতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর