,

নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোন ভোট হয় নাই, ভোটের নামে মহা ডাকাতি হয়েছে, প্রহসন হয়েছে, জনগণের সাথে তামাশা হয়েছে। আওয়ামীলীগের এই অপকর্ম দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। সময় সুযোগ হলেই ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের জবাব দিবে দেশবাসী। তিনি গতকাল শনিবার বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সির পরবর্তী এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জি কে গউছ আরো বলেন, আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা এখন আঙ্গুল ফুলে গলাগাছ বনে গেছেন। দেশের পত্র-পত্রিকায় উঠে আসছে হবিগঞ্জে কি পরিমান দুর্নীতি হয়েছে। হবিগঞ্জ একটি ছোট্ট শহর। এই শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজে ১৪ কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলেছে। রাস্তা-ঘাটে ঠিকাদারগণ কাজ করতে পারে না আওয়ামীলীগ নেতাদের চাঁদাবাজির কারনে। হাওরে কোন জলমহাল নেই যেটাতে তাদের তাবা পড়েনি। এখন শহরে বাসা-বাড়িও দখল হচ্ছে। এই অবস্থায় আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। এদিকে ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও গোপন ব্যলটে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আগামী দিনের র্কুধার নির্বাচিত করেছেন কাউন্সিলররা। গতকাল সোমবার স্থানীয় মোহাম্মদপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মোট ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে শাহ্ দ্বারা আলী মোমবাতি প্রতীকে ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ নূর উদ্দিন হরিন প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৮, অপর প্রতিদ্বন্ধি মুরশেদ আহমদ চেয়ার প্রতীকে পেয়েছে ৯২ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৪। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সৈয়দ জুবায়ের আলী ঘড়ি প্রতীকে ২২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বান্ধ সুয়েব আহমদ তালুকদার মই প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৫ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১১। সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির আহমদ মুকিত আনারস প্রতীকে ২৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাহেল আহমদ ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৪। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আহমদ হুসাইন এস.আই মোরগ প্রতীকে ২২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি মোঃ সাজু মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৬ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৫। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ জাকির আহমদ মাছ প্রতীকে ২১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শিহাব আহমদ কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২০৪ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৯। কাউন্সিলে নির্বচান কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন দিঘলবাক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক এড. মোঃ ইলিয়াছ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল বারিক রনি, গজনাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল খয়ের কায়েদ, পোলিং অফিসার হিসেবে দয়িত্ব পালন করেন নোমান চৌধুরী, মজিদুল করিম মজিদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, সোহেল রিপন চৌধুরী, জামাল চৌধুরী, ডাঃ কাপ্তান মিয়া, মোশাহিদ আহমেদ, ফজলু মিয়া, ছাদিক মিয়া, আলী আহছান ফুলখাছ, আরজু মিয়া, সার্জেন্ট আবুল ফজল, সাহেদ মিয়া, আবু বকর।
সম্মেলন শেষে উক্ত ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হাজী আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মুরশেদ আহমদের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি.কে গউছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কদ্বয় এড. নুরুল ইসলাম ও এড. মিজানুর রহমান, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এড. বজলু মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ পাঠান, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে শিহাব আহমদ চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য আমির হুসেন, জোসেফ বখত চৌধুরী। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া, বিএনপি নেতা ছানোয়ার খান, বয়েত উল্লাহ মিয়া, শফিউল আলম, আজিজুর রহমান আরজু, গোলাম নবী তালুকদার, আজিজ আহমেদ মেরাজ, শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, এড. জালাল আহমেদ, ছাইদুর রহমান চুনু, সোসেল মিয়া, মির্জ খাদিম, নুরুল গণি চৌধুরী সোহেল, মনর উদ্দিন, মাহি চৌধুরী, হারুনুর রশীদ হারুন, মোশাহিদ আলম মুরাদ, বিভু আচার্য্য, ছায়াদ আহমেদ, শাহ রুহেল, জহিরুল ইসলাম সোহেল প্রমূখ। কাউন্সিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মৌলানা শোয়াইব আহমদ চৌধুরী। এসময় নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে দেশনেত্রীর মুক্তি আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর