,

নবীগঞ্জে সাবেক মেম্বারের বিরুদ্ধে বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং করগাও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার লিটল চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে বিধবাও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা উত্তলোন করে আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, ২০১৪ সালে করগাও ইউনিয়নের মৃত ধনঞ্জয় দাশের স্ত্রী স্বপ্না রানী দাশের নামে বিধবা ভাতার বই দিয়ে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা উত্তোলন করে নিজে তুলে নিতেন ওই মেম্বার। এরপর ২০১৫ একই গ্রামের সুরেন্দ্র দাশের পুত্র সমিরন দাশের নামে একটি প্রতিবন্ধী বইয়ের প্রতিমাসের ৭০০ টাকা ভাতা নিজে তুলে নিতেন ইউপি মেম্বার লিটল দাশ। এরপর বিধবাও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তুলে নিজে আতœসাত করার অভিযোগ পেয়ে বই দুটি ব্যাংক থেকে নিয়ে আসেন নবীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল নূর। বই আটকের খবর পেয়ে ওই দিন বিকেল ৩টা সাবেক ইউপি মেম্বার লিটন দাশ উত্তেজিত হয়ে তিনি তার ভাইসহ বেশ কয়েকজন লোক মিলে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে কথাবার্তা শুরু করে এবং অফিসারকে নাজেহাল করে, উত্তেজিত বাকবিতন্ডা শুনে অফিস পাড়ার লোকজন জড়িত হয়। এ সময় সমাজসেবা অফিসার আঃ নূর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসানকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে তার অফিসে বসেন। এরপর উভয় পক্ষের কথা শুনে বিধবা স্বপ্না রানী দাশের টাকা পাওয়ার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্বীকার করলেও প্রতিবন্ধী সমিরন দাশ বলেন আমি কোনো ভাতার টাকা পাইনি। পরে সাবেক মেম্বার লিটন দাশও তার ভাতার টাকা পাওয়ার কোনো সত্যতা প্রমান না করতে পারায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসান তার প্রতিমাসে ৭০০ টাকা হারে হিসাব করে ৪০ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দিলে ইউপি সদস্য লিটন দাশকে উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীর জিম্মায় দুই সপ্তাহের সময় নেন এবং অফিসপাড়ার এমন ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাও ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ করবে না বলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসানের নিকট মুখলেছা দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর